সাজেক থেকে ফেরার পথে দীঘিনালায়  তিন পর্যটককে অপহরণ

৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি দুর্বৃত্তদের
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

সাজেক থেকে ফেরার পথে তিন পর্যটককে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে অপহরণের কিছুক্ষণ পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণের শিকার তিনজনই ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা। তারা হলেন মো. মজিবুর রহমানের ছেলে এস এম নাহিদুজ্জামান (৩৮), কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মামুন ফকির (৩৮) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে জোবায়ের আলম (২৮)।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, সাজেক থেকে প্রাইভেট কারযোগে খাগড়াছড়ি আসার পথে তিন পর্যটককে অপহরণ করা হয়। পরে পুলিশি তৎপরতায় তারা দ্রুত মুক্ত হন। এখন তারা পুলিশ হেফাজতে। তবে কারা অপহরণ করেছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

অপহরণের শিকার নাহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ি ফেরার পথে আমাদের অপহরণ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর মুক্তি পাই। প্রাইভেট কারে ফিরছিলাম আমরা।

পুলিশ জানায়, দীঘিনালার বোয়ালখালীর মাছ বাজার এলাকার রাস্তার ওপর পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অপহরণকারীরা অপহৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনের কাছে ফোন করে টাকা দেওয়ার জন্য বলে। এরপর অপহৃত ব্যক্তিদের একজনের আত্মীয় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের মুঠোফোন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপার অপহৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অপহৃত ব্যক্তিদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন। পুলিশ সুপারের নম্বর থেকে ফোন আসার পর দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের তৎপরতার বিষয়টি বুঝতে পেরে অপহৃত ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়।

অপহরণের শিকার নাহিদুজ্জামান আরও বলেন, অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাদের তিনজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা করাতকলে নিয়ে যান। সেখানে মারধর করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে এক আত্মীয়কে কৌশলে এসএমএস দিয়ে বিষয়টা জানান তিনি। পরে পুলিশের ফোন এলে তাদের ছেড়ে দেয়।