এই অবস্থায় লেবাননে নতুন করে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে তারা।
হিজবুল্লাহর প্রধান নিহতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন মাত্রায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার। নতুন এই পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমীকরণ মেলাচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো।
এমন কি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরায়েলের সঙ্গে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোনো ভূমিকা নিতে পারে না।
গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত লেবাননের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের হুতি যুদ্ধা ছাড়া, অন্য কেউ-ই ফিলিস্তিনের পাশে সরাসরি অবস্থান নেয়নি। মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ানো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোটদান, ত্রাণ পাঠানো এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়া মূলত কোনো দেশই ফিলিস্তিনিদের জন্য তেমন কিছু করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের সর্বাত্মক সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া আর কোনো দেশকেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে দেখা যায় না। বরং কোনো কোনো মুসলিম দেশের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারেই নখদন্তহীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন মুসলিম বিশ্বের জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে একাট্টা হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে সরকারগুলোর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয় না।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বা শক্ত অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর জন্য বড় সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের অবস্থান।