তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে হবে -ড. মিজানুর রহমান আজহারী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে

২৪ এর রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কুরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলেই দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে।

 

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে হবে, ইসলাম হচ্ছে আমাদের জীবন ব্যবস্থা। আমরা কুরআন হাদিসের আলোকে কথা বলি। মানুষকে সচেতন করাই দ্বিনের কাজ। এসব ভুলে আমাদেরকে সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসির কুরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

শনিবার নবাবগঞ্জ উপজেলার ‘২৮তম বার্ষিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে’ প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতার উপস্থিতিতে ‘ঢাকা বিভাগের’ নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী মাঠে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা মাহফিল ময়দানে আসতে শুরু করেন। শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। দুপুরের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বারুয়াখালী মাঠ। এ মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ৩০টি বড় পর্দায় মাহফিল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এ উপস্থিতিকে কুরআনের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করছেন উপস্থিত মুফাসসিররা।

আজহারী আরও বলেন, আমাদের নিয়ে যারা হিংসা করেন, সমালোচনা করেন আমরা তাদেরকেও ভালোবাসি। আমাদের স্লোগান হচ্ছে হেরে যাবে ওদের হিংসা, জিতে যাবে আমাদের ভালোবাসা। এটাই ইসলামের সুমহান শিক্ষা।

 

মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান শাহীন, রওশন আলী, মো. আইয়ুব হোসেন চুন্নু মিয়া, মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা, তানভির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেইন জনি, মো. মনির হোসেন, আবুল বাসার সুজন, শামিমুল হক শিমু, মিজানুর রহমান মিজান

মাহফিল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের খানের সঞ্চালনায় মাহফিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে তাফসির পেশ করবেন মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ ক্বারি শেখ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ ক্বারি আব্দুল ওয়াহাব দোহারী ও হাফেজ মাওলানা মহিবুল্লাহ রুম্মান প্রমুখ।