বাস্তবায়িত পদ্মাসেতুর খরচ কত সালের মধ্যে উঠবে তা জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার ভাষ্য, টোল আদায়ের মাধ্যমে ২০৫৭ সালের মধ্যে সেতুর খরচ উঠে আসবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলী এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন। লিখিত উত্তরে সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান। অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন। সেতু উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে আদায়কৃত টোল হতে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সমুদয় ঋণ পরিশোধ হবে।
সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর করা এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের আরো জানান, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দুটি সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়ে থাকে। সেতু দুটি হলো যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু ও ধলেশ্বরী নদীর মুক্তারপুর সেতু। এ দুটি সেতুতে স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনের ওজন নির্ণয় করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে এমন ট্রাক বা যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না।
সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।