নাঙ্গলকোটে রাতের আঁধারে কলেজের জায়গা দখল

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্যামেরখিল গ্রামে জে.আই. ইসলামিক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জমিতে শুক্রবার রাতে বেড়া নির্মাণ করে জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খোদেজা বেগমের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সরজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্যামিরখিল গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি লোকমান শাহ্ তার পিতা-মাতার নামে জে.আই. ইসলামিক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নামক একটি কারিগরি কলেজ স্থাপন করেন। দীর্ঘ দিন যাবত উক্ত কলেজে শত শত শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। গত শুক্রবার রাতে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খোদেজা বেগম লোকজন নিয়ে নিজেদের জায়গা দাবী করে প্রতিষ্ঠানের মাঝ বরাবর টিনের বেড়া দিয়ে অর্ধেক জায়গা দখল করে নেয়, ফলে কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া সহ শিক্ষার্থীগণ চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় অলিপুর বাজার বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি গিয়াস কামাল বলেন, সমাজ সেবক লোকমান শাহ্ দরিদ্র জনগোষ্টীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেব গড়ে তোলার লক্ষে কলেজটি স্থাপন করেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসাবেও কলেজটি ব্যবহৃত হয়। একটি মহল শিক্ষাব্যবস্থ্যা ব্যহত করতে এবং ভোট কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাতের আধাঁরে বেড়া নির্মাণ করে জায়গা দখলের পায়তারা করছে। প্রতিষ্ঠান ও ভোট কেন্দ্র রক্ষায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শ্যামিরখিল গ্রামের মাস্টার তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ দানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি স্থ্যাপন করা হয়, ২০১৭ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কলেজটিতে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কলেজ মসজিদের উপরে ৪তলা বিশিষ্ট মহিলা মাদ্রাসা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। তিনি প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামে স্ত্রী খোদেজা বেগম বলেন. ২০০০ সালে আমার স্বামী আমার নামে ১৫ শতক জায়গা রেজিষ্টি করে দেন। গত ৫-৬ বছর থেকে আমি এখানে বসবাস করে আসছি। আমার জায়গায় আমি বেড়া নির্মাণ করেছি। আজ সকালে এন্দু মিয়া ও তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে এসে আমার বেড়া ভেঙ্গে ফেলে।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।