২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন ২০২৩-২৪ সেশনের এক শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসহ প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ‘গত ১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলেন এবং ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে জোরপূর্বক শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। ফলে আমি সম্পূর্ণ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
অভিযোগের সময় প্রক্টর অফিসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার অনুমতি ছাড়া (বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী) ছবি তুলেছেন দাবি করলে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং সহকারী প্রক্টর ড. নাহিদা বেগম তার ফোন চেক করে ঘটনার সত্যতা পান। পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম তদন্তের স্বার্থে তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে রেখে দেন।
হেনস্তা বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী জানান, আমি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে পছন্দ করতাম এবং তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যাননি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে বায়েজিদকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি এবং তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অনিরাপদ বোধ করবে এমন কোন কাজ করবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়েছি। তদন্ত চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।অভিযোগপত্রটি আমরা প্রশাসন বরাবর পাঠিয়েছি৷
হল ত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির রুমে নতুন তালা দিয়েছি আর সে হলে আসলে প্রক্টরিয়ালবডিকে অবগত করবো।
