কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের কারণে সিন্ডিকেট সভায় গতকাল মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষনা দেয়।
বন্ধ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার পর ক্যাম্পাস জুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
আজ বুধবার (০১ মে ) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান বলেন,আমরা হল ছেড়ে কোথায় যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে,ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো,আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহসীন জামিল বলেন,ঈদের পর পর ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমাদের ক্যাম্পাস কেনো বন্ধ হবে,আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি,এখন হল বন্ধ হলে আমরা কিভাবে পড়াশোনা করবো। আমরা এ হল ছাড়বো না
সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,ভিসি- শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান বলেন, উপাচার্য নিজেই যখন সন্ত্রাসী তখন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দয়া মায়া থাকে না৷ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা যখন তার বিরুদ্ধে গিয়েছে তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তার প্রশাসনের সকল সহকর্মীরাই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তার পতন শুধুই সময়ের ব্যপার৷ তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করেছেন।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে,এখানে আমার কিছু করার নেই।