ভুক্তভোগী ফয়সাল মাহমুদ (১৪) উপজেলার রায়কোট পশ্চিম পাড়ার মুন্সি বাড়ির প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার আবাসিক ভবনের ছাদে যায় ফয়সালসহ তিন শিক্ষার্থী। ওই সময় ফয়সাল জানালা দিয়ে দেখতে পায় পাশের একটি ভবনে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন হামীদী তার অফিস কক্ষে এক নারী শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করছেন। পরদিন বিষয়টি মাদরাসায় জানাজানি হলে ফয়সালকে ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন সুপার নিজাম উদ্দিন। কিন্ত ফয়সাল গোপন না রেখে সবাইকে জানিয়ে দেয়। এতে ফয়সালের প্রতি ক্ষিপ্ত হন নিজাম।
এ বিষয়ে ফয়সালের মা হালিমা বেগম বলেন, সুপার নিজামের অপকর্মের বিষয়টি আমার ছেলে আমাকে জানিয়েছে। আমি তাকে সতর্ক করি যেন বিষয়টি গোপন রাখে। তার বয়স কম হওয়ায় সে সবাইকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু নিজাম হুজুর আমার সন্তানকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাদরাসার শিক্ষিকা-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপকর্ম করা নিজামের পেশায় পরিণত হয়েছে। নিজাম স্থানীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তার লাগামহীন অনৈতিক কাজে দিশেহারা অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।