নাঙ্গলকোটে   শিক্ষিকার সঙ্গে মাদরাসা সুপারের অনৈতিক সম্পর্ক, দেখে ফেলায় ছাত্রকে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

কুমিল্লায় এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি দেখে ফেলায় এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছেন ওই মাদরাসা সুপার।

নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাঙ্গড্ডা দারুল ফালাহ্ হামীদীয়া বালক-বালিকা দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন হামীদী মাদরাসাটিতে সুপারের দায়িত্বে আছেন।

ভুক্তভোগী ফয়সাল মাহমুদ (১৪) উপজেলার রায়কোট পশ্চিম পাড়ার মুন্সি বাড়ির প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার আবাসিক ভবনের ছাদে যায় ফয়সালসহ তিন শিক্ষার্থী। ওই সময় ফয়সাল জানালা দিয়ে দেখতে পায় পাশের একটি ভবনে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন হামীদী তার অফিস কক্ষে এক নারী শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করছেন। পরদিন বিষয়টি মাদরাসায় জানাজানি হলে ফয়সালকে ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন সুপার নিজাম উদ্দিন। কিন্ত ফয়সাল গোপন না রেখে সবাইকে জানিয়ে দেয়। এতে ফয়সালের প্রতি ক্ষিপ্ত হন নিজাম।

পরে মঙ্গলবার ফয়সাল অসুস্থতার কারণে ক্লাস না করে আবাসিক ভবনে শুয়ে থাকে। নিজাম পূর্বের ঘটনার জেরে ক্লাস না করার অজুহাতে ফয়সালকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে ফয়সালের মা তাকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পরেও ফয়সালের শরীরে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট।

এ বিষয়ে ফয়সালের মা হালিমা বেগম বলেন, সুপার নিজামের অপকর্মের বিষয়টি আমার ছেলে আমাকে জানিয়েছে। আমি তাকে সতর্ক করি যেন বিষয়টি গোপন রাখে। তার বয়স কম হওয়ায় সে সবাইকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু নিজাম হুজুর আমার সন্তানকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাদরাসার শিক্ষিকা-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপকর্ম করা নিজামের পেশায় পরিণত হয়েছে। নিজাম স্থানীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তার লাগামহীন অনৈতিক কাজে দিশেহারা অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন হামীদী বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল ছুটি না নিয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। তাকে ক্লাসে না আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে উচ্চস্বরে কথা বলায় তাকে বেত্রাঘাত করেছি।বেত্রাঘাতে তার শরীরে আঘাত লাগে। পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি সত্য নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।