‘মসজিদের ছাদ ছিদ্র করে মরিচের গুড়ো দিয়ে আটজনকে মেরে লাশ গোমতীর চরে পুঁতে রাখি’

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অণুগল্প-২৭
শাহাজাদা এমরান ।।
প্রকাশ: ২ মাস আগে

যুদ্ধের যাত্রা যখন শুরু : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন সময়ের বুড়িচং থানা কমান্ডার মো.আমির খান বলেছেন, ২৮ মার্চ আমার চাচাতো ভাই পরবর্তীতে সহযোদ্ধা হাবিলদার সেলিম খান রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে জীবন বাঁচিয়ে পায়ে হেঁটে ৩ দিনে বাড়ি পৌঁছে। একই দিন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল স্টেশনে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে জমা হওয়া ইপিআর বাহিনীর ১৪ জন পাক সেনা পায়ে হেঁটে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওয়ানা হয়। পাক সেনারা মিরপুর এসে চেয়ারম্যান জানু মিয়াকে মেরে ফেলে। এইভাবে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে জাফরগঞ্জ পর্যন্ত পাকসেনাদের হাতে মোট ২২ জন শহীদ হয়। আর এ সময় তাদের মারা যায় ৬ জন । বাকী ৮জন জাফরগঞ্জ মসজিদে এসে আত্মরক্ষার জন্য ডিফেন্স নিয়ে চর্তুদিকে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে আমাদের ৪ বেঙ্গলের সিপাই আয়েত আলী ও বেবী টেক্সীর ড্রাইভার তবদল হোসেনসহ মোট ৬ জন মারা যায়।
এ খবর শুনে খুব সকালে সদ্য বাড়ি আসা হাবিলদার সেলিম খানকে নিয়ে জাফরগঞ্জ যাই কৌতুহলী হয়ে। সেখানে গিয়ে সার্বিক অবস্থা শুনে সিদ্ধান্ত নেই, না, তাদের আর বাঁচিয়ে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাদেরকে মারার জন্য পাবলিক দিয়ে মসজিদের ছাদে উঠে এবং শাবল দিয়ে মসজিদের ছাদ ছিদ্র করে মরিচের গুড়ো, পুরানো কাপড়ের সাথে কেরোসিন মিশিয়ে ভিতরে আগুন দেই। হাবিলদার সেলিম খান ও আমি বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক সিপাইকে নিয়ে কবরস্থানের ওয়ালের পিছনে পজিশন নেই। এক পর্যায়ে তারা মসজিদের ভিতর থাকতে না পেরে বারান্দায় বের হয়ে আসে। আমাদের সাথে গোলাগুলি করলে আমাদের গুলিতে হানাদার বাহিনীর ৮জনই মারা যায়। পরে পাবলিক দিয়ে এই ৮ জনের লাশ গোমতী নদীর চরে পুতে ফেলি। নিহত একজনের কাছে কিছু পাকিস্তানী টাকা পাওয়া যায়। এই টাকাগুলি আমার কাছে এখনো রয়েছে। আর তাদের ৮টি রাইফেল নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। এভাবেই শুরু হয় আমার যুদ্ধ যাত্রা।

প্রশিক্ষণ যখন শুরু : বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খান বলেছেন, মার্চের শেষ দিকে নিজ গ্রাম কল্পবাস গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার মাঠে নিজ উদ্যোগে আমি আর সেলিম খান এলাকার ৩৫০ জন যুবককে নিয়ে একটি ট্রেনিং সেন্টার খুলি। তাদেরকে ১৫ দিনের মত ট্রেনিং দেই। একটা সময় যখন দেখলাম, এলাকায় রাজাকারের আর্বিভাব হয়ে গেছে, তখন তাদেরকে নিয়ে ভারতের বকস্নগর থানায় যাই। পরদিন সকালে বি.এস.এফ বাহিনী এসে আমাদেরকে গাড়িতে করে মতিনগর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ঐ ক্যাম্পে কিছুদিন ট্রেনিং দেওয়ার পর আমরা ৩৫০জন যুবককে ভারতে নিয়ে যাই। পরে তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে পাঠিয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। আমার চাচাত ভাই সেলিম খান অম্পি নগর ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেয়। সার্জেন্ট মান্নান মটর প্লাটুনের দায়িত্ব নেয় ও সার্জেন্ট রাজ্জাক অফিসারদের সাথে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব নেয়। আর আমি নিজে কর্নেল হায়দার সাহেবের (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) নিকট এক্সপে¬াসিভ ট্রেনিং নেই।

যুদ্ধের অনুপম গল্প :
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আমির খান বলেছেন, পাঞ্জাবী সৈনিক আক্তারের নাক ফাটানোর পর ৩০ জানুয়ারি ৭১ আমাকে চার মাসের ছুটিতে দেশে পাঠানো হয়। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ৭মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ হয়ে উঠল আমার মনের কথারই প্রতিধ্বনি। তাই মনে মনে শুরু হয়ে যায় আমার প্রস্তুতি। ২৬ মার্চ বিকালে শুনতে পাই আমাদের বাড়ির পূর্ব দিকে রেল লাইনের পার্শ্বে শশীদল ইপিআর ক্যাম্পে হাজার হাজার মানুষ দুই পাকিস্তানি সৈন্যদের মেরে ফেলার জন্য ক্যাম্প ঘেরাও করে রেখেছে। ক্যাম্পে পৌঁছি দেখতে পেলাম পাবলিক, স্কুল কলেজের ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ও পুলিশসহ প্রায় দুই হাজার লোক ক্যাম্পকে ঘেরাও করে রেখেছে। আমি গিয়ে প্রথমে আমার পরিচয় না দিয়ে সেন্ট্রিকে উত্তেজিত হয়ে বললাম, তোমাদের ইনচার্জ কে ? ইনচার্জ সুবেদার আতাউর রহমান তখন ব্যারাকের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিল সব কিছু। আতাউর সাহেব ছিলেন ১২টা বিওপির ইনচার্জ অর্থাৎ কোম্পানি কমান্ডার। সেন্ট্রি আতাউর রহমানকে গিয়ে বলল স্যার, একজন আপনার সাথে দেখা করতে চায়। তখন তিনি বললেন, উনাকে একা পাঠাও। তখন আমি ভিতরে গিয়ে হ্যান্ডশেক করি। ক্যাম্পের বারান্দায় দুইজন পাঞ্জাবী ও একজন পাঠানকে নিরস্ত্র করে বসিয়ে রেখেছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এদেরকে কেন বসিয়ে রেখেছেন ? আতাউর সাহেব বললেন, আমার কাছে পিস্তল আছে, ৩ রাউন্ড গুলি করলেইতো মেরে ফেলতে পারি। তারা আমার কমান্ডে ছিল। কোন সময় বেয়াদবি করে নাই, আমি কি করে মারব। আমি বললাম, গত রাত থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরা সুযোগ পাইলে আপনাকে মারতে কোন চিন্তা করবে না। এখন যদি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এ্যাটাক আসে তখন তাদের সাথে যুদ্ধ করবেন, না এদেরকে সামলাবেন ? এ কথা বলার পর সুবেদার বেশ অসহায়ের মত আমাকে বললেন, তাহলে তাদেরকে আপনি নিয়ে যান। তখন আমি বললাম, আমাকে হাতিয়ার দেন। সাথে সাথে তার আদেশে অস্ত্রাগার কমান্ডার আমাকে একটি এস.এম.জি হাতে তুলে দেন। আমি তাদেরকে আত্মসমর্পণ করিয়ে সেন্ট্রিকে দূরে সরিয়ে গেইট দিয়ে বাহির করি। ইন্ডিয়া বর্ডারের দিকে নিয়া রওনা হই। উদ্দেশ্যে ছিল তাদের ভারতীয়দের হাতে তুলে দিয়ে আমি চলে আসব। এমতাবস্থায় ভারতের সীমানার কাছে যাওয়ার পর পাবলিক দা দিয়ে কুপিয়ে তাদের ৩জনকে হত্যা করে। পরে আমার আদেশে ভারতের ভিতরে নিয়ে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলে।

এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখে দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জ মসজিদে ৮জন পাক সেনা হত্যা ও গ্রামের ট্রেনিং সেন্টার খোলার কারণ জানিয়ে আমার পাশের নাগাইশ গ্রামের আলী আহাম্মদ রাজাকার হানাদার বাহিনীকে চিরকুট পাঠায়। ফলে কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট থেকে ২৭জন পাক সেনা এক ওয়ালেস সেট ও এল.এমজিসহ আমাদের তৎকালীন চেয়ারম্যান অদুদ মিয়া ও আর কয়েকজনকে ধরে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার আব্বা এবং আমার চাচাকে ধরে তাদের দুইজনকে রাইফেলের ভাট দিয়ে পিটিয়ে খুব মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নিতে না পেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায় এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সমস্ত বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

বুড়িচং থানা কমান্ডারের দায়িত্বের বিষয়টি জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির বলেন, মেজর হায়দার সাহেব আমাকে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের পরামর্শে বুড়িচং থানা কমান্ডের দায়িত্ব দিয়ে ৩০জন মুক্তিযোদ্ধা , দুটি এল.এম.জি একটি টুইন্স মটর, বাকি এস.এল.রাইফেল, এস, এম, জি এবং প্রচুর গোলাবারুদ দিয়ে সম্মুখ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেন। এরপর আমি কোনাবন ক্যাপ্টেন গাফফার সাহেবের নিকট যাই। তিনি আমাদের গাইডার দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে পাঠায় এবং চান্দলা গ্রামে এসে সুবেদার ওহাব সাহেবের সাথে দেখা করি। সুবেদার ওহাব সাহেব একজন কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন। চান্দলা-ধলগ্রাম পাঞ্জাবীদের শক্ত ডিফেন্স ছিল। এখানে বেশ কিছুদিন ধরে সুবেদার ওহাব সাহেবদের যুদ্ধ চলছিল। এখানে ওহাব সাহেবের একটি থ্রিইন্স মটরের উপর পাকসেনাদের মিডিয়ামগানের গোলা পড়ে ও আমাদের ৫জন লোক শহীদ হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খান আরো বলেন, আমি ওহাব সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে পাকসেনাদের উপর একটি কাউন্টার এট্যাক করার জন্য বলেন। তখন আমরা পাকসেনাদের পিছন দিকে গিয়ে শিদলাই গ্রামের ভিতর ঢুকি। ঐ সময় নাজমুল হাসান পাখি তার একটি দল নিয়ে আমাদের সাথে যোগ দেয়। পরদিন সকাল ১১টার দিকে আমাদের কাউন্টার এ্যাটাক শুরু হয়। নাজমুল হাসান পাখির নিকট একটি চাইনিজ এস.এন.জি তার দলের পিঠার জনসন এর নিকট একটি এল.এম.জি বাকী গুলি রাইফেল ছিল। আমার লোকদেরকে ৩ ভাগে বিভক্ত করে ৩ বাড়িতে পজিশন নিয়ে ফায়ার শুরু করি। আমাদের উত্তর দিকের বাড়িতে পাকা সেনাবাহিনীর একটি এল.এম.জি পোস্ট ছিল, আমাদের ২ থেকে ৩০০ গজ পূর্বে তাদের খুব শক্ত ডিফেন্স ছিল। দুপুর প্রায় ১ টার দিকে আমার ২য় এল.এম.জি পোস্টের ইঞ্জিনিয়ার কোরের হাবিলদার কাশেমের গায়ে গুলি লাগে। তার ডান পাজরের দুটি হাড় ভেঙ্গে যায়, গুলি ভিতরে আটকে থাকে। পরে তাকে আমাদের বাহিনীর একজন ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দুজন লোক দিয়ে ভারতের জিবি হাসপাতালে পাঠাই। ঐদিকে দিনের দেড়টার দিকে আমার পজিশনে ২য় বাড়িতে ৬জন রাজাকার সাঁতরিয়ে উঠে যায়। তাদেরকে গেরিলা কায়দায় আটক করে চোখ ও হাত বেঁধে নৌকা যোগে গাফ্ফার সাহেবের নিকট পাঠিয়ে দিলে তিনি তাদের গুলি হত্যা করে। বিকাল ৩ টার দিকে আবার আমাদের ডিফেন্সের দিকে ৭জন রাজাকার আসছিল। তখন তাদের পানিতে রেখেই আত্মসর্মপণ করাই। পরে একজন একজন করে পানি থেকে উঠিয়ে হাত পা বেধে পিছনের রেখে দেই। দেখি তাদের পকেটে আমাদের মা, বোনদের কান ও গলার জিনিস আর ৩০৩ রাইফেলের গুলি ছিল আর আইডি কার্ড ছিল। তাদের সকলের বাড়ি বরুড়া থানায়। ঐ দিকে কুটির চৌমহুনী থেকে আমাদের উপর মিডিয়াম গানের এয়ারব্রস্টি গোলা আসতে শুরু করে। তবু আমরা হাল ছাড়িনি। প্রাণপণে যুদ্ধ চালিয়ে যাইতে ছিলাম। নদীতে তখনো শক্র পক্ষের ৩টি বড় নৌকা ছিল। লক্ষ করলাম,আমাদের অলআউট আক্রমণের কারণে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক নৌকায় লোক বোঝাই করে নৌকাটি ্েছড়ে দেয়, আর বাকি দুই নৌকা ঘাটে ছিল, এমতাবস্থায় আমরা ৩টি এল.এম.জি দিয়ে এক সাথে ফায়ার করি। প্রথম নৌকায় থাকা সব হানাদার মারা যায়। দ্বিতীয় নৌকার লোক লাফিয়ে পানিতে পরে গিয়ে আবার পজিশনে যায়। সন্ধ্যার আগে ৭জন রাজাকারকে শিদলাই গ্রামের ঈদ্গাহে নিয়ে গুলি করে হত্যা করি। দুলালপুর গ্রামের আমাদের সহযোদ্ধা জহির প্রফেসরের বাড়িতে রাত্র যাপন করি। পরে রাতেই খবর পাই ঐ নৌকায় ১৮জন পাক সেনা মারা গিয়াছে। বাকি ১ নৌকায় লাশ নিয়ে ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে রশি টেনে পালিয়ে যাচ্ছে। আর ২টি নৌকা আধা ডুবু অবস্থায় ছিল। আমরা পরদিন সকালে গিয়ে দেখি ঐ নৌকায় পাকসেনাদের মাথার মগজ, আর রক্তে লাল হয়ে আছে।
শালঘর যুদ্ধ সম্পর্কে আমির খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা আগে গিয়ে শিদলাই গ্রামের পশ্চিমাংশে ৩টি বাড়িতে পজিশন নেই। ঠিক ১১ টার দিকে হানাদার বাহিনী শিদলাই গ্রামে ঢুকার পূর্ব মুহূর্তে আমরা তাদের উপরে ফায়ার শুরু করি। তারা তাড়াতাড়ি ২টি বাড়িতে উঠে পজিশন নিয়ে আমাদের সাথে গোলাগুলি করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এইভাবে যুদ্ধ চলতে থাকে এবং রাত্রেই তারা পালিয়ে সেনানিবাসে চলে যায়।

পরিচয় :
মো. আমির খান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিগন্যাল কর্মকর্তা। পিতা হাজি আলী আহমেদ খান ও মাতা ফুলবানুনেছা। তিনি ১৯৩৫ সালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা-মাতার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে তার অবস্থান দ্বিতীয়। ১৯৬২ সালের ২৩ জানুয়ারি তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে লাহোরে কর্নেল ইউনুছ খানের কমান্ডে স্ট্যাটাস্টিক সিগন্যালে দায়িত্বপালন করেন। চাকুরিতে থাকাকালীন সময়েই পাকিস্তানীদের নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন তিনি। মাওলানা ভাসানী ও বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করায় আক্তার হোসেন নামে এক পাকিস্তানী সেনাকে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেন। পরে শাস্তি হিসেবে তাকে চার মাসের জন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।