অসুস্থ সাবেক মন্ত্রী ড. রেদোয়ানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

কুমিল্লার চান্দিনা থেকে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী এবং এলডিপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তব্যরত ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ঢাকায় স্থানানরÍর করা হচ্ছে। শনিবার (১৪ মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ প্রহরায় তাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

্এর আগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ শনিবার রাস ১০টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, শনিবার সকাল থেকেই কারাগারে ড. রেদোয়ান কিছুটা অসুস্থবোধ করেন। বিকেলের দিকে তার বুকে ব্যথা শুরু হলে সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেনের সাথে পরামর্শ করে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কারাগারে আনা হয়। ওই চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে স্থানান্তর করার কথা জানান।

জেলা সুপার আরও জানা, পরে বিকেলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। কুমেকের চিকিৎসকরা রাতে তাকে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারা বিধি মেনেই চিকিৎসকদের পরামর্শে ড. রেদোয়ানকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, ড. রেদোয়ানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শরীরে কিছু সমস্যা থাকায় তাকে ঢাকায় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এখন জেলা পুলিশ ও কারাগার কর্তৃপক্ষ তদারকি করছে।

এ বিষয়ে ড. রেদোয়ান আহমেদের ছেলে সুলতান মঈন আহমেদ জানান, তার বাবার শারিরীক অবস্থা খারাপ। এজন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তাকে ঢাকায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বাবার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে চান্দিনায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের হামলার মুখে ড. রেদোয়ান তার ব্যক্তিগত শটগান থেকে গুলি চালালে দুজন আহত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক আখলাকুর রহমানের দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই মামলায় রেদোয়ান আহমেদ ও তাঁর গাড়ি চালকসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে রাতে গাড়ি চালক ও অপর দুই দলীয় নেতাসহ ড. রেদোয়ানকে কারাগারে পাঠানো হয়।