দেবিদ্বারে নারী কেলেংকারির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

ভিতরে বৈঠক বাহিরে উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার দেবিদ্বারে নারী কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হন এক প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকালে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গণ্য-মান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে তার অপসারন দাবী করে এলাকাবাসী এ অবরোধ করেন।
এ সময় বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বের করে দিতে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠি সোটা নিয়ে দৌড়া-দৌড়ি শুরু করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে । স্থানীয়রা জানা যায়, উপজেলার ৯ নং উত্তর গুনাইঘর ইউনিয়নের বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম গত সোমবার রাতে এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে জনতা কর্তৃক আটক হওয়ার সংবাদ বিদ্যালয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরদিন মঙ্গলবার ও বুধবার স্থানীয়রা তার অপসারন ও
শাস্তির দাবী তুলে। বুধবার সকালে বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম বিদ্যালয়ে আসার সংবাদে এলাকার ক্ষুব্ধ জনগন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির অভিযোগ এনে তার অপসারনের দাবীতে বিদ্যালয় ঘেরাও করে রাখে । এতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও আশ-পাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মহিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক মন্ডলী,
অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যালয়ে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের শর্তে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে ইউপি চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গণ্য-মান্য ব্যাক্তিবর্গ বৈঠকে বসলে, স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককের অপসারনের দাবীতে আবারো অফিস অবরোধ করে নানা শ্লোগান দিতে থাকে এবং বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বাহির করে দিতে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠি সোটা নিয়ে দৌড়া দৌড়ি শুরু করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে বৈঠক স্থগিত করে সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায়
প্রধান শিক্ষককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পোনে ৮টায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমিনুল হক সরকার (কামরুল) সাংবাদিকদের জানান, রাতেই আমরা স্থগিত বৈঠকের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, এক লোক আমার কাছে কিছু টাকা পেত, ওই টাকার জন্য সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কত টাকা পেত এবং পাওনাদারের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দেননি।
এ ব্যপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং লোক মুখে শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে প্রধান শিক্ষক তার নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ চাইলে আমি পুলিশ পাঠাই, আমার পুলিশ স্কুল থেকে তাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে।