অস্ত্রের মুখে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এর লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে উদ্বৃত করে লেখেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তার বইয়ে লিখেছেন, “জিয়া বঙ্গভবনে আসতেন মধ্যরাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্র উঁচিয়ে রাখতো। আমি প্রায়ই মনে করতাম এটাই বোধহয় আমার শেষ রাত।
বিচারপতি সায়েম বলেন, “আমি কাগজটা পড়লাম। আমার পদত্যাগপত্র। যাতে লেখা- ‘অসুস্থতার কারণে আমি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
আমি জিয়াউর রহমানের দিকে তাকালাম। ততক্ষণে আট-দশজন অস্ত্রধারী আমার বিছানার চারপাশে অস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জিয়া আবার আমার বিছানায় পা তুলে আমার বুকের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে বললেন, ‘সাইন ইট’। আমি কোনোমতে সই করে বাঁচলাম।”
‘আমি কোনমতে সাইন করে জীবন বাঁচালাম’ শিরোনামে জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তার লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়, যা দীর্ঘদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বিএনপি।
বইটি থেকে আরো জানা যায়, রাষ্ট্রপতি সায়েমের একটাই দুঃখ ছিল যে, তিনি বাংলাদেশে নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যেতে পারেননি।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়া কিভাবে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো তা জানতে পারবেন এ ছোট এনিমেটেড ভিডিও থেকে। জিয়া রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেবকে কথাও দিয়েছিল সে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সে নির্বাচনে জিয়া সামরিক বাহিনীর প্রধান ও সামরিক আইন প্রশাসকের পদে থেকে নিজেই নিজেকে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট আয়োজন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে, যা জাতির সঙ্গে সত্যিই এক বড় রকমের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বইটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার সাতদিনের মধ্যে বইটি বাজেয়াপ্ত এবং নিষিদ্ধ হয়।