কুবিতে কবিতা-গানে প্রতিবাদ প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা রোববার পর্যন্ত আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কখনো ফররুখ আহমেদের পাঞ্জেরি, কখনো আপেল মাহমুদের তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে, কখনো কাজী নজরুলের কাণ্ডারী হুঁশিয়ার- এমন সব প্রতিবাদী ও প্রেরণাদায়ক গান কবিতার মাধ্যমে আন্দোলনের নবম দিন পার করেছেন কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয়ের গোল চত্বরে তিন শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক, দায়িত্বপালনে ব্যর্থতা ও হামলাকারীদের সাথে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর যোগসাজোশের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’ নামে এই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের দাবিসমূহ আদায় না হলে আন্দোলন আরও কঠোরতর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম।
এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে আন্দোলনকারীদেরকে অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। সেসময় তাঁর সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও মঞ্চ স্থাপনের জায়গায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মঞ্চ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্যাম্পাস অংশের ছাত্রলীগ নেতারা। যদিও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আয়োজন চালিয়ে গেছেন।
বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তাদেরকে কেউ কোনো বাধা দেয়নি, শুধু বলা হয়েছিল যে আপনারা প্রোগ্রাম করেন তবে রাস্তা ব্লক করিয়েন না।
আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাইরেন বাঁজিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আতিক উল্লাহর বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ইমাম হোসাইন মাসুমকে খুঁজতে থাকেন বলে জানিয়েছেন প্রধান ফটকে কর্তব্যরত আনসার সদস্য দুলাল। তবে সাইরেন বাঁজানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুলিশ পরিদর্শক আতিক উল্লাহ।
ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা কখনোই পুলিশকে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে বলি না। ওনাকে জিজ্ঞেস করায় তিনি উপাচার্যের কাছে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ ক্যাম্পাসে এভাবে প্রবেশ করতে পারে কি না- এ বিষয়ে উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রতিবেদককে আইন দেখতে বলে তাঁর কল কেটে দেন।