লাকসামে পথ সভায় হামলা : আহত বিএনপির নেতাকর্মীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে

পুলিশ সুপার বললেন- মিথ্যা কথা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

জসিম চৌধুরী , মোস্তাফিজুর রহমান।।

গত ১৪ জুলাই নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রায় যাওয়ার প্রাক্কালে কুমিল্লা লাকসামে মুরাদনগর বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

আহত নেতাকর্মীরা কুমিল্লা নগরীর আকন্দ হসপিটালে গত এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিল। গতকাল ২২জুলাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আকন্দ হসপিটাল থেকে বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

আহত নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা গত ১৪ জুলাই নোয়াখালী বিএনপির পদযাত্রায় যাওয়ার সময় লাকসামে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। আমরা বাঁচার জন্য আজকে এক সপ্তাহ ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি। কেউ স্বাদে হসপিটালে শুয়ে থাকে না। আমরা সুস্থ হলে নিজেরাই চলে যাবো। আমরা এখনো পুরোপুরি অসুস্থ্য অথচ আজকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা কি ঠিকমতো চিকিৎসাও নিতে পারবোনা? এটা তো আমার নাগরিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। তারা আমার নাগরিক অধিকারে বাঁধা দেবে কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ তো মানুষের সেবা করা, অসুস্থ মানুষকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া না।

এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গত ১৪ জুলাই নোয়াখালী যাওয়ার পথে লাকসামে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করে। আমাদের নেতা সাবেক মন্ত্রী ও এমপি কায়কোবাদ সাহেবের নির্দেশে কুমিল্লা আকন্দ হাসপাতালে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আমার একটা রোগীও সুস্থ্য হয় নাই অথচ আজকে প্রশাসনের লোকজন নাকি তাদেরকে ভয় দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। তারা কিভাবে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করে আমার বুঝে আসেনা। আমি এ ঘটানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

কুমিল্লা আকন্দ হাসপাতালের চেয়ারম্যান কাজী তাহমিনা আক্তার বলেন, তারা আজকে এক সপ্তাহ ধরে আমার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আজকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে বলে ইমার্জেন্সি রোগী গুলো রেখে বাকি সবাইকে রিলিজ করে দিতে। তাই আমি তিনজন অপারেশনের রোগী রেখে বাকি সবাইকে রিলিজ দিয়ে দেই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান( পিপিএম, বার) বলেন, এটা মিথ্যা কথা । এটা তারা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। আমার পুলিশের আর কোন কাজ নাই। হসপিটালে তাদের কি কাজ? এবিষয়ে আপনি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেসা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করার পর তারাও বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে রিলিজ করে দিতে বলেছে – প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এটা মিথ্যা কথা।