কুবিতে প্রথম দিনে হলে উঠেছেন ৯১ জন শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মহিউদ্দিন মাহি, কুবি॥

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে হল সিলগালা করে দেওয়ার পর রোববার খুলেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। তবে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারছেন। এক্ষেত্রে যাদের আবাসিকতা নেই তবে হলে থাকছেন, তাঁদেরকে আবাসিকতার ফর্ম পূরণ করে হলে উঠতে হচ্ছে। প্রথম দিনে তিনটি ছাত্র হলে ৯১ জন শিক্ষার্থী আবাসিকতা নিয়েছেন। নারী শিক্ষার্থীদের দু’টি হলে থাকা সবাই আগে থেকেই আবাসিক বলে নতুন করে কাউকে আবাসিকতা নিতে হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নতুন করে ৪০ শিক্ষার্থী আবাসিকতা নিয়েছেন। এ হলে ৪৪৮ সিটের বিপরীতে গাদাগাদি করে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। এদের মধ্যে আগে আবাসিকতা ছিল শুধুমাত্র ১৪০ শিক্ষার্থীর। কাজী নজরুল ইসলাম হলে ১৬০ সিটের বিপরীতে থাকেন দু’শতাধিক শিক্ষার্থী। এ হলে পূর্বে আবাসিকতা ছিল ৫২ জনের। রোববার নতুন করে আবাসিকতা নিয়েছেন ২৮ জন। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে ১৪৪ জনের আবাসন ব্যবস্থার বিপরীতে থাকেন ২১৫ জনের মতো। এ হলে আগে আবাসিকতা ছিল ৩৬ জনের। হল খোলার পর নতুন করে আজ আবাসিকতা নিয়েছেন ২৩ জন। এসব হলে এখনও শিক্ষার্থীদের আবসিকতা নিয়ে হলে ওঠা চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলে ১৯৭ ও শেখ হাসিনা হলে ২৫৬ জনের আবাসন ব্যবস্থার বিপরীতে ৩০০ এর মতো করে থাকছেন প্রতিটি হলে। পুরুষ শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে আগে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক হয়ে থাকলেও নারী শিক্ষার্থীদের উভয় হলে আগে থেকেই সকলে আবাসিকতা নিয়ে থাকতেন।
এর আগে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ২ অক্টোবর হল সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। রোববার ৯ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হলে কোনো অনাবাসিক শিক্ষার্থী না তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে হলে শৃঙ্খলা ফিরি আসবে।

এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, হলের শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীকে তোলার মাধ্যমে হলের মধ্যে প্রশাসনের কর্তৃত্ব ও সিস্টেম ফিরে এসেছে। যেটা আগে থেকেই থাকা উচিৎ ছিল। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অঘটন কমিয়ে দিবে বলে আশা করছি।