কুমিল্লায় বিধবার স্ত্রীর প্লট দখল করলো যুবলীগ নেতা

রুবেল মজুমদার।। 
প্রকাশ: ২ মাস আগে

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বিসিক শিল্পী নগরীতে এক বিধবা নারীর দুইটি প্লট দখলের অভিযোগ উঠেছে এক যুব লীগ  নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নেতা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান খোকা। সেই একই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজ আলমের মেজু ভাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী ফয়েজুন নেছা সুমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিস,বিসিক শিল্প কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন অফিসে একাধিক অভিযোগ করেও সুফল মেলেনি বলে জানান। পরে চৌদ্দগ্রাম থানা অভিযোগ করতে গেলে সেখানে ওহ বাপ্পি নামের একজন পুলিশের এসআই বিশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
যদি অভিযুক্ত চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশের এস আই বাপ্পি বলেন,এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি, আমি একদিন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্র জানা যায়,চৌদ্দগ্রাম বিসিক শিল্পনগরীতে আল মদিনা এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরীর মালিক মৃত আবদুল মান্নানের স্ত্রী  ফয়েজুন নেছা সুমি। সেই তার স্বামীর উত্তরাধিকার সত্ত্বে প্লট নং বি-৬ ও ৭ মালিক। তার প্লট মিজান ওয়েল মিল এর মালিক যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের কাছে  ২০১৪ সালে ভাড়া দেওয়া হয় শর্ত সাপেক্ষে।
ভাড়া দেওয়ার পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভাড়া দেয়, পরবর্তী বিভিন্ন হুমকি-ধুমকি দেখিয়ে যুবলীগ নেতা মিজান আর কোন ভাড়া দেননি।  এরই মধ্যে ভুক্তভোগী নারী সুমি স্বামী   ২০২৩ সালে মারা যায়। গত বছর ২০২৪ সালের মে মাসে প্লট দুইটির চুক্তি শেষ হলেও মিজান তাদের দুটি প্লট বুঝিয়ে দেননি।  পরে ভুক্তভোগী নারী তার প্লট উদ্ধারো  গেলে,তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে প্লটের মালিকানা দাবি না করতে নিষেধ করেন। নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার সন্তান এবং পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী নারী ফয়েজুন নেছা সুমি বলেন,২০০৮ সাল থেকে আমি আমার এই দুটি প্লটের ভাড়া পায়নি,যখনই ভাড়ার জন্য যায় তখনই সেই হুমকি-ধুমকি দেয়,আমার স্বামী না থাকে আমার বড় কন্যাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। এনি আমি বিভিন্ন দপ্তরে অফিসে ঘুরে ঘুরে ঘুরতে দুটি বছর চলে যাও, অথচ আমার প্লট দুইটি যদি বুঝে পাইনি। আমি আমার এক দুই কন্যা এক ছেলে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। আমি প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাই।
অভিযুক্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান খোকাকে একাধিক কল দিও পাওয়া পাওয়া যায়নি, পরে কয়েকটি সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন,ভুক্তভোগী নারী আমাদের কাছে কয়েকটি অভিযোগ করেছে, এ বিষয়ে আমরা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি,কিন্তু অভিযুক্ত মিজান পালাতক থাকায় ত এ বিষয়ে সমাধান করা যাচ্ছে না।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  এ. টি. এম আক্তার উজ্জামান বলেন,আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।