বৈঠক শেষে তারা গণভবনে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই নাশকতার পরিকল্পনা উপস্থাপন করলে তিনি সেটি বাস্তবায়নে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন র্যাব-পুলিশকে। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা আদালতের আইনজীবী সমিতি ভবনের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে চৌদ্দগ্রামে বাসের ৮ যাত্রীকে পেট্রল বোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাড়ে ৯ বছরের বেশি সময় পর আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মো. মনিরুল হক চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ওই সময় আন্দোলন দমাতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের ফাঁসানোর জন্য লোটাস কামাল ও মুজিবুল হকের পরিকল্পনায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র্যাব-পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বাসটিতে গানপাউডার দিয়ে নাশকতার এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আর ২০১৫ সালে পুলিশের করা দুই মামলার এজাহার ও পরবর্তী সময়ে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণে আমার নাম না থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানির উদ্দেশ্যে পরে সম্পূরক চার্জশিটে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।