কুমিল্লায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

জাহিদ হাসান নাইম ।।
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

বছর ঘুরে আবারো এসেছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন ‘পবিত্র ঈদ উল আজহা’। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশসহ ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ব্রুনাই ও পাকিস্তানে পবিত্র ঈদ উল আজহা উদযাপিত হবে। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লাসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

এছাড়াও, ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঈদ উদযাপন। মহান আল্লাহর প্রতি প্রিয় বান্দা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হজরত ইসমাঈলের (আ.) সীমাহীন ভক্তি, সর্বোচ্চ ত্যাগের সদিচ্ছা এবং গভীরতম আত্মসমর্পণে পরম করুণাময় সন্তুষ্ট হন এবং তিনি ইব্রাহিমকে (আ.) আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ পশু কুরবানি করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনার পর থেকে মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের প্রতীক হিসাবে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। প্রতিবছর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র হজের পরই দেওয়া হয় কোরবানি। পাঁচ দিন ধরে চলে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এছাড়াও, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৌদি আরবে আজ বুধবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদ উল আজহা। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশেই আজ ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ উল আজহা। ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। কুরবানির মূল কথা হলো ত্যাগ। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি দিয়ে দরিদ্র প্রতিবেশীদের মধ্যে এর মাংস বিতরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও যথারীতি ঈদ উল আযহা পালিত হবে। সকাল ৮ টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ইদগাহ সহ পুরো জেলায় ঈদের সালাত আদায় করবেন মুসল্লিরা। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ঈদগাহের বিকল্প হিসেবে পার্শ্ববতী স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন কান্দিরপাড় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত আদায়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এছাড়াও, কুরবানীকে ঘিরে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ঈদ-উল আযহার নামাজের জামাত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সফল করতে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পশু কোরবানির মাধ্যমে আমাদের জীবনে এক অনাবিল প্রশান্তি ও আনন্দ বয়ে আনে ঈদের এ দিনে। ঈদের ভ্রাতৃত্ববোধ আমাদের সবার ভিতর সমান ভাবে জাগরিত হোক ও অটুট থাকুক এটাই কামনা রইল সবার প্রতি।