কুমিল্লার দেবিদ্বারে মায়ের সামনে ছেলেকে শাসন করার মতো তুচ্ছ ঘটনায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর, দফায় দফায় সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও অন্তত: ১৫ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দক্ষিণ নারায়নপুর(ছগুরা) গ্রামের লতিফ মিয়ার বাড়ির আমির হোসেন’র পুত্র সিয়াম (১৫) শুক্রবার সকাল ১১টায় তার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করায় একই বাড়ির মৃত; জামাল মিয়ার পুত্র মামুন (২৫) তাকে শাসনের নামে বেধরক মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ সিয়ামের পরিবারের সাথে মামুনের পরিবারের ১ম দফা সংঘর্ষ হয়। দুপুরে ওই বাড়ির মৃত: আলাউদ্দিনের মেয়ে শাহিনুর আক্তার নীলা (২৭) কুমিল্লা থেকে বাড়ি আসার পথে মামুনের নেতৃত্বে একদল লোক নীলাকে লাঠিপেটা করে। তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিয়াম ও নীলার পরিবার এবং বাড়ির লোকজনের সাথে মামুনের পরিবারের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্ত:ত ১৪/১৫ জন আহত ও মামুনদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে একই বাড়ির জীবন মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম মারাত্মক আহত হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অপর আহতদের দেবিদ্বার ও কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামুন জানান, সিয়াম তার মায়ের সাথে ব্যবহার খারাপ করায় তাকে শাসন করি। এনিয়ে সিয়ামের পরিবার তার আত্মীয় -স্বজন নিয়ে আমাদের ঘর-দরজায় ভাংচুর করে। ঘটনার পর আমরা সবাই বাড়ি ছাড়া।
নিহত রহিমের বাবা জীবন মিয়া এবং মা’ পারভীন আক্তার বলেন, আমার ছেলে সংঘর্ষে জড়িত না। সে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়। আমি আমার পুত্র হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ব্যপারে কোন পক্ষই (শনিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত) থানায় মামলা বা লিখিত অভিযোগ করেনি। সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭জনকে থানায় এনেছি।