কুমিল্লায় ধর্ষণে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের পর শিশু ইমুকে হত্যা, ধর্ষকের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার বরুড়ায় পুকুর পাড়ে এক কিশোরীর (১০) লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের একটি পুকুর পাড়ে বাঁশঝাড় থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে যুবক প্রাথমিকভাবে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।
ধর্ষণের শিকার নিহত কিশোরী উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মনজুমা বেগমের মেয়ে নাদিয়া সুলতানা ইমু (১০)। আটক যুবক ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মনোহর আলীর ছেলের মো. জসিম (২০)।
নিহত ইমুর ফুফাতো ভাই আল আমিন বলেন, ইমু স্থানীয় একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পরীক্ষা শেষ করে গজারিয়া এলাকায় তার খালার বাড়িতে যায়। সেখানে জসিম তার পিঁছু নেয়।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ঘটনার পর জসিমকে আটক করা হয়। পরে সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। সে জানায়, ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে ওই কিশোরীর পিঁছু নেয় জসিম নামের ওই যুবক। তাকে বার বার অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু কিশোরী রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায় জসিম। পরে তাকে সেখানে হাত বেঁধে ধর্ষণ করে সে। ধর্ষণের পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরী ইমুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে করে।
ওসি ইকবাল বাহার আরও বলেন, তার স্বীকারোক্তির পর তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এখন তাকে আদালতে নিয়ে এসেছি। এখনও আদালতে আছি। আর কিশোরীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।