কুমিল্লা নগরজুড়ে বাসাবাড়িতে চুরির গ্যাংলিডার সাব্বির নামের এক দুর্ধর্ষ চোরের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। চুরি করে জেলে যায় আবার মুক্ত হয়েই শুরু করে চুরি। তবে সে বাসা বাড়ি ছাড়া অন্য কোথায়ও চুরি করে না বলে অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে। সাব্বির নামের এই চোরের রয়েছে এক চোর বাহিনী।সে এই বাহিনীর প্রধান।
দুর্ধর্ষ চুরির মামলা থেকে খালাস পাওয়ার দিনটি চোরের গ্যাং লিডার সাব্বির উদযাপন করলো একাধিক বাড়িতে চুরি করে। গত ৮ আগস্ট সোমবার এই ঘটনা ঘটে কুমিল্লা মহানগরের ইসলামপুর-ডেলুনি সড়কে।
কুমিল্লা শহরের বাসা বাড়িতে ঢুকে দরজার লককেটে অসংখ্য চুরির ঘটনার গ্যাংলিডার সাব্বির। তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা। কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা ও সদর দক্ষিণ থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ চোর সে। দরজার লক কাটা এই ভদ্রবেশী চোরের বাড়ি নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম আশ্রাফপুর ইয়াসিন মার্কেটের সাথে মীরবাড়ি। তার নাম মোঃ আমজাদ হোসেন ওরফে মীর সাব্বির প্রকাশ্যে সাব্বির। পিতা মীর মাহফুজ হোসেন। এর আগেও এলাকায় চুরি করতে গিয়ে ধৃত হয়েছে। দীর্ঘ সময় জেলেও ছিল।
৮ আগস্ট সোমবার কুমিল্লার আদালতে সাব্বির একটি দুর্ধর্ষ চুরির মামলায় বাদীর সাথে আপোষ করে খালাস পায়। এদিন দুপুরেই একাধিক বাড়িতে চুরি সংগঠিত করে খালাস উদযাপন করে সে।
এ দিন দুপুরেই বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তারের ইসলামপুর রোডের বাসার ৪র্থ তলার এক ভাড়াটিয়ার বাসায় চুরি করতে গিয়ে বাসার লককেটে ভিতরে প্রবেশের আগে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মহিলা বের হওয়ায় সে নেমে যায়।
একই দিন দুপুরে একই এলাকার কলেজ শিক্ষক হাসান ইমাম ভুইয়ার বাসায় ৬ষ্ঠ তলার ভাড়াটিযা এক কাস্টমস কর্মকর্তার বাসায় লককেটে চুরি করে সে। পরে ডেলুনি রোডের লিটন নামে আরো এক ব্যক্তির বাসায় ঢুকে চুরি করে সাব্বির। বিভিন্ন বাসায় চুরি শেষে হেয়ার স্টুডিওতে গিয়ে ২ হাজার টাকা খরচ করে নিজেকে পরিপাটি করে সাব্বির। কলেজ শিক্ষক হাসান ইমাম ভুইয়ার বাসার সিসি ক্যামেরা থেকে সাব্বির চোরের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়।
এ ঘটনায় মহানগর এলাকায চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সাব্বির চোর সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। আমাদের লোকজন কাজ করছে। এই মুহুর্তে এর বেশী আর কিছু বলতে পারব না।