কুমিল্লার কৃষিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি : উৎপাদন বাড়ছে,ব্যয় কমছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার কৃষিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। আবাদি জমিতে পার্চিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে কৃষকদের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দিচ্ছে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান পার্চিংকে একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি উল্লেখ করে বলেছেন, এ বিষয়ে সকল কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে এক দিকে কৃষিতে উৎপাদন বাড়বে অপর দিকে ব্যয় কমবে। লাভবান হবে আমাদের কৃষকগণ।

এতে কৃষকরা খুশিমনে এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে চাষ করতে অনেক আগ্রহী হচ্ছে।কুমিল্লার কৃষকরা জমিতে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

এক কথায় বলা যায় এই পদ্ধতি এখন কুমিল্লায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।এতে কুমিল্লা জেলার কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে,কুমিল্লার জেলার সকল উপজেলায় এ পদ্ধতিতে চাষ করতে কঠোর নির্দেশননা দেওয়া আছে।এটার উপকার হলো কীটনাশক ব্যবহার কমে আসবে এবং কৃষকরা লাভবান হবে।গ্রামের কৃষকরা নিজ উদ্যোগে জমিতে পাখি বসার জন্য বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে দেন।ফসলে ক্ষতিকারক পোকা দমনে অনেক আগে থেকে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এতে যেমন অনেক উপকারি পোকা মারা যায়, তেমনি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ক্ষতির চিন্তা করেই পার্চিংয়ের মতো নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কৃষকরা বলেন, জমিতে পোকার আক্রমণ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো। এখন পার্চিং পদ্ধতিতে কোনো খরচ ছাড়াই পোকা দমন করা যাচ্ছে। পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। এটি পরিবেশ বান্ধব এবং লাভজনক। কারণ এর মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে।

ক্ষতিকর পোকামাকড় চুপচাপ বসে রস চুষে খায় বা ফসল কেটে বা কুরে কুরে খায়।পাখিরা যেন সহজেই ক্ষতিকর পোকামাকড়গুলো দেখতে পায় এবং ধরতে পারে সে জন্যই একটু ঘন ঘন পার্চিং দেয়া হয়। বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ছয়টি পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না।

কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মাজড়া পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, নলী মাছি, গল মাছি, চুঙ্গী পোকা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকারক। ডালে বসে পাখিরা জমির এসব পোকা খায়।এতে পোকামাকড়ের জন্য বালাইনাশকের প্রয়োজন হয়না। কৃষকের অর্থনৈতিক সাশ্রয় হয়।পার্চিং একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। উপজেলায় কৃষকদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। এতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে এসেছে।