কুমিল্লায় ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করে বাহারুল পেলেন ১০ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার স্টেশন রোড এলাকা থেকে একটি খড় কাটার মেশিন কেনেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের খামারি বাহারুল ইসলাম রানা। ২০০ গবাদি পশুর খড়কাটার উপযুক্ত বলে মেশিনটি ক্রয় করলেও পাঁচটি পশুর খাবারও কাটতে পারেন না তিনি। সামান্য কাজ করলেই আটকে যায় মেশিনটি। তিনি দেখেন মেশিনের মোটরের গায়ে আলগা স্টিকারে এক দশমিক পাঁচ হর্সপাওয়ার লেখা থাকলেও মূল স্টিকারে লেখা এক হর্সপাওয়ার। পরে সেই খামারি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে। ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি দায়েরের পর রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওই অভিযোগের শুনানি হয়। এসময় প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেই সঙ্গে মেশিনটি ফেরত দিয়ে তার টাকা বুঝে নেন খামারি বাহারুল ইসলাম রানা।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার কুমিল্লার স্টেশন রোড এলাকার মেসার্স আ: রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ।
খামারি বাহারুল বলেন, ১৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মেশিনটি কিনেছি। কাজ করে দেখি, যে কথা বলে মেশিন কিনেছি সেই কাজ করা যায়না। পরে আমি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করি। এখন সঠিক সমাধান পেয়েছি। আমি নতুন মেশিন কিনবো।
ভাক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, সঠিক পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় মেসার্স আ. রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেশিনটি কাজের উপযোগী না হওয়ায় মূল্য ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বাহারুল ইসলাম প্রণোদনা হিসেবে জরিমানার ২৫শতাংশ অর্থ্যাৎ ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ফেরত পাওয়া টাকা দিয়ে কাজের উপযোগী মেশিন ক্রয় করতে পারবেন।