কুমিল্লায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা নিহত, পুলিশসহ আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার তিতাসে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোল্লা ও ইউপি সদস্য সাইফুলের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা জহির ইসলাম নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে। এ সময় তিতাস থানার পুলিশসহ ১০জন আহত হয়েছে।
নিহত জহিরুল ইসলাম (৩২) ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানা যায়, যৌথ পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আবু মোল্লা চেয়ারম্যান ও সাইফুল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে সাইফুল মেম্বারের লোকজন প্রকাশ্যে হামলা চালায় বলে জানান এলাকাবাসী।
এসময় আবু মোল্লা চেয়ারম্যানের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জহির ও পুলিশের এস আই মাহমুদুল হাসানসহ দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। মারাত্মকভাবে আহত জহিরুল ইসলাম কে প্রথমে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত পুলিশ সদস্যসহ অন্যদেরকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে ও নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের ক্রয় করা পুকুর থেকে জোড় করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে, আমার ভাই জহির এসে বাধা দিলে সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রাম দা’সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে।
পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে। এ সময় আরও ৪/৫জন আহত হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও হত্যার বিচার চাই।
এ দিকে সাইফুল ইসলাম মেম্বারের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার পুকুরের মাছ জোড় করে ধরে নিতে আসলে আমার লোকজন বাধা দেয়। তারা বাধা আমান্য করে।

এ ব্যাপারে তিতাস থানা ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পক্ষের সাথে আলাপকালে অপরপক্ষ এসে হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষেকে শান্ত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের ইট পাটকেলের আঘাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন পুলিশ আহত হয়েছে। আহত জহিরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ হত্যার সাথে যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।