কুমিল্লায় মেধা বিকাশের লক্ষে ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বইপড়া অলিম্পিয়াড

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ ।।
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

মেধা বিকাশের লক্ষে ও শিক্ষার্থীদের বইমুখী করতে কুমিল্লায় প্রথম বইপড়া অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ দেশে এই প্রথম কুমিল্লায় বইপড়া অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে।গতকাল কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।এদিন সদর দক্ষিণ উপজেলার ৪২টি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার শিক্ষার্থী অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়।

উদ্বোধন করেন বইপড়া অলিম্পিয়াড কমিটির আহ্বায়ক সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হোসেন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, কমিটির সদস্য সচিব পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা মো. ইমাম হোসাইন প্রমুখ।

আয়োজকদের সূত্র জানায়, এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের দুটি বিভাগ রয়েছে। ক-বিভাগে পঞ্চম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।খ-বিভাগে একাদশ শ্রেণি থেকে ও সাধারণ পাঠক।১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানহা তাবাসসুম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকাতুন নাহার অনিকা বলেন, আমরা অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য পাঁচটি বই পড়েছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রাম সম্পর্কে পড়েছি।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছি।

কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমাম হোসাইন বলেন, অনেক অলিম্পিয়াড হয়। তবে আমরা দেশে কুমিল্লায় প্রথম বইপড়া অলিম্পিয়াড শুরু করেছি। কুমিল্লার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা দেশের ৪৯২টি উপজেলায় ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ০৬ লাখ ৩০ হাজারের বেশি নতুন পাঠক তৈরির পরিকল্পনা করেছি।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট করা।শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য তাদের সৃজনশীল বই পাঠে মনোযোগী হতে হবে। সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বইপড়া অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছেন। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরেছে। এই আয়োজন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক।

সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, মোবাইল গেমস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আসক্ত হয়ে পড়ছেন। তারা বই পড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাদের আগ্রহী করতে আমরা এই আয়োজন করেছি। সদর দক্ষিণ উপজেলার ৪২টি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে।