কুমিল্লা ঠাকুরপাড়ার ব্যবসায়ী সুজন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারদাবি

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া এলাকার মরহুম আবদুল মতিনের ছেলে শাহ জিলানী সুজন হত্যার ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর ঠাকুরপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সুজনকে রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন নিহত সুজনের স্বজনরা।

সুজন হত্যার প্রতিবাদে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার মা নার্গিস বেগম বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ১নং আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নগরীর দক্ষিণ ঠাকুরপাড়ায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুজনের বোন লায়লা পারভীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, হত্যাকারীরা সম্পর্কে আমাদের তালাতো ভাই হয়। আসামী মহিবুর রহমান রিপন,মোফাজ্জল হোসেন ছোটন,উভয় পিতা মৃত আবদুল ওয়াদুদ ,সাং টমছমব্রিজ,ও আনিসুল হক সাইফুল পিতা মৃত সামছুল হক সাং, মহিলা কলেজ রোড, সর্ব থানা কোতয়ালী ও জেলা কুমিল্লা গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় আমাদের ঠাকুরপাড়া বাসা থেকে আমার ভাই সুজনকে ফোন করে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় মহিবুর রহমান রিপনের লালমাই টাইলস এন্ড সেনেটারির নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে রড এবং অন্যান্য ধাতব বস্তু দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী ভাবে পিটাতে থাকে। তার আত্মচিৎকারে টহলরত পুলিশ এগিয়ে এলে খুনিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সুজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকাতে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় সুজন মারা যায়।

লিখিত বক্তব্যে নিহত শাহ জিলানী সুজনের বোন আরো অভিযোগ করে বলেন, আমরা ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ আমাদের মামলা গ্রহন করেনি।পরে আমরা ২৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুজনের মা, বোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদসগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তারা ঘাতক রিপন, ছোটন ও সাইফুলকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসীর দাবি করেন।

নিহত সুজনের পরিবার মামলা করতে থানায় গেলেও কেন মামলা নেননি জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদুর রহমান বলেন,আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগতই নই। এই মাত্র অভিযোগটি আপনার কাছে শুনলাম।

আদালত সুজন হত্যার মামলাটি পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জানতে চাইলে পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে এখনো আদালতের কাগজ এসে পৌঁছায়নি। আদালত পাঠালে হয়তো দ্রুতই আমরা পেয়ে যাব।