কুমিল্লা নগরীতে সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতাদের ভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

কুমিল্লা নগরীর বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে হাতে গোনা দু-তিনটি কম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। কয়েকটি ব্র্যান্ডের তেল মিললেও চাহিদার তুলনায় তা পর্যাপ্ত নেই। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।তবে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে, পণ্য দুটির দামও কিছুটা কমেছে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর রানীর বাজার, চকবাজার, রাজগঞ্জ, টমছমব্রীজ বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বাজারে প্রায় এক মাস ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট চলছে। সরকার ভোজ্য তেল আমদানিতে ভ্যাট কমালে সরবরাহ কিছুটা বাড়ে। তবে এক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ আবার কমিয়ে দিয়েছে কম্পানিগুলো।

রানীর বাজার মক্কা এন্টারপ্রাইজের স্বাধিকারী মোশাররফ বলেন, আগে নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয়টি কম্পানি তেল দিত, দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে মাত্র দুটি কম্পানি তেল দিচ্ছে, যা দিয়ে আমাদের চাহিদার ১০ শতাংশও পূরণ হচ্ছে না। বাকি কম্পানিগুলোর ডিলাররা জানাচ্ছেন, তারা নাকি কোম্পানি থেকে তেল পাচ্ছেন না। আগে সপ্তাহে আমাকে তিনটি কম্পানি প্রায় ২০ কার্টন করে তেল দিত।এখন সেই তিন কম্পানি একটাও তেল দিচ্ছে না।

চকবাজারের দোকানদার নাসিম বলেন, এখন ক্রেতারা দোকানে এসেই আগে তেল খোঁজেন। যদি তেল দিতে না পারি, পণ্য কিনতে চান না তারা। বাজারে নতুন করে তেলের দাম বাড়াতেই কম্পানিগুলো এমন টালবাহানা করছে।

সাবেক ক্রিয়াবীদ আনিস বলেন, বাজারের বেশ কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরেও এক লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পাইনি। গত সন্ধ্যায় ঘুরছি তেলের জন্য, যা পাইছি দ্বিগুণ দামে কিনতে হলো। একটা দোকানেও তেল পাওয়া যাচ্ছেনা।

ভোজ্য তেল সরবরাহকারী বড় এক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ শাখার প্রধান নাম প্রকাশ না করার শরতে বলেন, আমরা এলসি খুলতে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না, বরং একাধিকবার এলসি বাতিল করা হয়েছে। যার কারণে বাজারে আমাদের তেল সরবরাহ কমে গেছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে একটু সমস্যা হচ্ছে। সয়াবিন তেলের সরবারাহের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে অবগত করা হয়েছে। শীগ্রই এ সমস্যা থাকবেনা। কেউ এ সুযোগে বেশি দাম নিলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিব। আমরাও বাজারে বাজারে মনিটরিং করতেছি।