স্টাফ রিপোর্টার ।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় নগরীর কুমিল্লা হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে (৬০) গ্রেফতার করছে কোতায়ালী মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (১৭ এপ্রিল ) দিবাগত রাতে নারী ও শিশু নিযার্তন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলা লালমাই উপজেলার রসলপুর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন বিকালে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মামলার ২ নাম্বার আসামি।
মামলার প্রধান আসামি জেলার লালমাই উপজেলার বাকই(উত্তর) ইউনিয়নের রসলপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ শাহনেওয়াজ বাহার (৪০।তার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি ও প্রতারানার একাধিক মামলা আদালাতে চলমান রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,বাহার কুমিল্লা হাই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাদে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট পড়তো।এসময় বাহারের সাথে ফাহমিদা(ছদ্মনাম)আক্তারের (১৬) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। পরে ভুক্তভোগী নারীর অগোচরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে বাহার ।এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবাহ করে।
কয়েকদিন পর বিবাদী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঐ নারীকে তালাক প্রদান করে । শাহনেওয়াজ বাহার ও তার পিতা মোঃ আব্দুল কাদের পরস্পর যোগসাজশে ভূক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান। বাহার ও তার পিতা যোগসাজশে ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে ও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধমকি দেয় যে,তাকে আবার বিয়ে না করলে এবং এ বিষয়ে কাউকে জানালে তার ও তার পরিবারের বিরাট ক্ষতি সাধন করিবে।
এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতায়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন বলেন,মামলার ২ নং নাম্বার আসামি বাহারের পিতা কাদের কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত বাহারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মূলত সে তার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন বলে আমরা জানতে পারি ।