কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে সন্তুষ প্রকাশ করলেন প্রিসাইডিং- সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার-পোলিং এজেন্টরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। কেউ চাইলে ভোট শুরুর আগে ভোট দিতে পারবে না, আবার ভোটের শেষেও ভোট দিতে পারবেন না। ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌঁড়ে পালালেও কিছু হবে না। তাই ইভিএমের ভোট একেবারেই নিরাপদ। পাশাপাশি একাধিক ভোট দেয়ার ব্যালটের মত এক ব্যক্তির একাধিক ভোট দেয়ার একেবারেই সুযোগ নেই। কারন আঙুলের ছাপ একবারই প্রয্জ্যো হবে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইভিএমের প্রশিক্ষন শেষে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোসলেহ উদ্দিন এমন কথা বলেন। মোসলেহ উদ্দিন জানান, নগরীর ঠাকুর পাড়ায় রামকৃষ্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার দায়িত্ব। দু’ দিনের প্রশিক্ষনে ইভিএমের প্রতি বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতা নিয়ে তিনি খুবই খুশি।

সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের প্রশিক্ষন নেয়া মোর্শেদা বেগমও বললেন আমাদেরকে যেভাবে প্রশিক্ষন দেযা হয়েছে তাকে একভাগও কারচুপির সুযোগ নেই। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচনে আমি মনে করি ইভিএমের বিকল্প নেই। মোর্শেদা জানান, নগরীর অশোকতলা ইসহাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভোটের দিন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

লালমাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ কবির প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেছেন। তার কেন্দ্র নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাপ্তান বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ইভিএমর প্রশিক্ষন শেষে জুনায়েদ কবির বলেন, আপনি ইভিএমে একবার ভোট দিলে আপনার পুরো হিস্ট্রি চলে আসবে। দ্বিতীয়বার হাতের ছাপ পরিবর্তণ করে ভোট দেয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। পাশাপাশি কেউ যদি রেজাল্ট পরিবর্তণ করতে চায় তাও একেবারে অসম্ভব।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের প্রশিক্ষন হয় কুমিল্লা জিলা ও ফয়জুন্নেচ্ছা স্কুলে। শনিবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়।

৯ জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত । ২১ শ ৬৫ জন প্রিসাইডিং-সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং এজেন্টদের

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহেদুন্নাবী চৌধুরী বলেন, প্রায় ২১ শ ৬৫ জন অফিসার প্রশিক্ষন গ্রহণ করছেন। ধাপে ধাপে এ প্রশিক্ষন দেয়া হবে।

আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে ৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন । ভোটার আছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ , ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন। ১০৫ টি ভোট কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০ টি।