ক্যালিওগ্রাফিতে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন কুমিল্লার তাবিয়ার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

তাবিয়া বিনতে এরশাদ। পেশায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। অবসরে বসে যান রং তুলি হাতে। মনের মাধুরীতে আঁকেন আরবি ক্যালিওগ্রাফি। শিশুদের বিনামূলে শেখান স্বপ্নের এ কাজ। অনলাইনে সরব অংকনের ভিডিও নিয়ে। ক্যালিওগ্রাফিতে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখেন এ তরুণী।

সূত্রমতে, প্রাচীন আরবে ইসলাম আগমনের পূর্বে ক্যালিগ্রাফির চর্চা শুরু হয়। মক্কা নগরীতে আরবি লিপির প্রথম প্রচলন করেন বিশর ইবনে আবদুল মালিক আল কিন্দি। ক্যালিওগ্রাফি যেমন প্রতিনিয়ত তার অতীত সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে যায়, ঠিক তেমনি নতুনত্ব খুঁজে পায় নতুন শিল্পের ছোঁয়ায়।

তাবিয়া বিনতে এরশাদ বলেন, কাওমি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) শেষ করে, একটি বালিকা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছি। ছোট বেলা থেকে আঁকিবুকির প্রতি খুব আগ্রহ ছিলো। শরীয়তের বাধ্যবাধকতা আর সঠিক নির্দেশনা না থাকায় শুরু করতে পারিনি। ২০২১ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রে ভর্তি হই। কাজ শুরু করি ক্যালিওগ্রাফি নিয়ে। যেহেতু প্রাণির ছবি আঁকা ইসলামে নিষেধ, এ জন্য আমি প্রাণির ছবি আংকন করি না। আমি ক্যালিওগ্রাফি, বৃক্ষ, প্রকৃতিসহ ব্যতিক্রমী ধর্মী কাজ করতে চাই। একটু সময় ফেলে বসে যাই, রংতুলি নিয়ে। ক্লাসের পরে আমার মাদ্রাসার শিশুদের বিনামূলে ক্যালিওগ্রাফি শিখাই। যেনো তারা ক্রিয়েটিভ হয়। অনেকের ধারণা মাদ্রাসার পড়ুয়ারা সৃষ্টিশীল কাজ করে না বা করতে পারে না। আমি সে ধারণা ভেঙ্গে দিতে চাই। আর ক্যালিওগ্রাফিতে আগ্রহী আমার বন্ধু জান্নাত, সজিব, রাহাতসহ অন্যান্যদের সহযোগীতায় বাঙালীর আর্ট নামে একটি ফেসবুক পাতা পরিচালনা করি। যার মাধ্যমে ক্যালিওগ্রাফি কাজ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।
এ কাজের নেপথ্যে আমাদের আমাদের গুরু শিল্পী শাহীন স্যার ও মিজান স্যার। আমি স্বপ্ন দেখি, ক্যালিওগ্রাফার হিসাবে দেশে-বিদেশে মানুষ আমাকে জানবে। সে লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করছি। আগামীতে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ক্যালিওগ্রাফি নিয়ে কাজ করবো।কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ক্যালিওগ্রাফিতে তাবিয়ার হাতেখড়ি অংকনশালায়। এবং ক্যালিওগ্রাফি শিল্পে সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সে লেগে থাকে, দৈনন্দিন নিজেকে আপডেট করে। তাহলে ভালো করবে। কারণ ক্যালিওগ্রাফি একটি ব্যাপক অধ্যায়। সুবিশাল কর্মযজ্ঞ।