খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে   কুমিল্লায় তিন মামলা ও এর বর্তমান অবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন আগস্ট দুটি দুর্নীতি মামলার সাজা মওকুফে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাতে পেয়েছেন তাঁর পাসপোর্ট। দীর্ঘদিন পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দুটি আর একই বছরের ফেব্রুয়ারি ১টি মামলা দায়ের করা হয়। তিনটি মামলায়ই বাদী পুলিশ।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের হায়দারপুলের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ আশপাশের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ওইদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় কুমিল্লার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। দুটি মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।

একই বছরের ফেব্রুয়ারি ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় মারা যান সাত যাত্রী এবং গুরুতর আহত হন আরও ২৫২৬ জন। ঘটনার পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিচারকার্য এখনও শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী এড. কাইমুল হক রিংকু বলেন, কুমিল্লার তিনটি মামলা-ই পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে দিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে। তিনটি মামলার মধ্যে চৌদ্দগ্রামের বাস পোড়ানো মামলাটি চার্জ গঠনের অপেক্ষায় আছে। আর দুটি মামলার মধ্যে একটি হচ্ছে ৫৪ ধারায় আরেকটি হচ্ছে নাসকতার। এ দুটি মামলার কোনটিতেই ম্যাডামের নাম ছিল না। পরবর্তীতে চার্জ গঠনের সময় নাম দিয়ে দিয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি আমল শুণানি চলছে আর অপরটি প্রস্তুত হবে বিচারের জন্য।