চান্দিনায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মাসুমুর রহমান মাসুদ, চান্দিনা ।।

কুমিল্লার চান্দিনায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। এক সপ্তাহ পরেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে পুরোদমে। ক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে চান্দিনার বিভিন্ন শপিংমল গুলো। সরেজমিন ঘুরে চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন শপিংমল গুলোতে এরকম চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে চলতি মৌসুমে পাঁচ শত কোটি টাকা ক্রয়-বিক্রয় এর লক্ষ নির্ধারণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন চান্দিনার ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এমন ইঙ্গিত দিয়ে এবিষয়ে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার, বরুড়া, বুড়িচং উপজেলার মানুষ ও কেনাকাটা করতে যান চান্দিনার শপিংমল গুলোতে। রোজা রেখে প্রচ- রোদকে উপেক্ষা করে সাধ ও সাধ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্যই মার্কেটে এসেছেন ক্রেতারা। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কানের দুল, চুড়ি, গলার মালা, টিপ, ব্যাগ, জুতোসহ ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিস কিনছেন ক্রেতারা। কেউ আবার পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য দোকানের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না। তবুও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়ও।

আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটজুড়ে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতাদের ভিড় আর ফুটপাতের বিক্রেতাদের হাঁকডাক এবং রাস্তায় মানুষ আর নানা যানবাহনে একাকার উপজেলা সদর। ক্রেতাদের এমন উপচে পড়া উপস্থিতিতে অনেক খুশি বিক্রেতারা।

এদিকে করোনা থাবা কাটিয়ে টানা দুই বছর পর লাভের স্বপ্ন দেখছে ব্যবসায়ীরা। তাই ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি করছেন বলে জানান ক্রেতারা। আবার দামের সাথে পণ্যের মান ঠিক নেই বলে অভিযোগ করা হয়। নি¤œ আয়ের মানুষেরা কেনাকাটা করছেন ফুটপাত থেকে। ছেলেরা বেশি কিনছেন শার্ট, প্যান্ট, টিশার্ট ও পাঞ্জাবি। আর তরুণী ও নারীরা কিনছেন শাড়ি, থ্রিপিস ও ফ্রক। এছাড়া জুতার দোকানেও বিক্রি বেড়েছে অনেক। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলে মার্কেট, শপিংমল, ফ্যাশন হাউজ ও বিপণিবিতানগুলোতে।

ক্রেতা মো.আল আমিন হোসেন জানান, পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি, কাপড়ের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি মনে হচ্ছে। এখনো ঈদের বেশ কিছুদিন বাকী তারপরও দোকানিরা কাপড়ের গলা কাটা দাম রাখছেন।

স্বপ্ন পূরণ এর স্বতাধীকারী মো. সুমন মাহমুদ বলেন- করোনায় গত দুই বছর আমাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো ছিলো না। এবছর ব্যবসায়ী পরিবেশ অনেক ভালো। শবে বরাত এর পর থেকে বেচাকেনা ভালো তবে ১০ রমজান এর পর থেকে অনেক মানুষের সমাগম এ বিক্রি বেড়েছে।

বিজয় বস্ত্রালয় এর সত্ত্বাধীকারী বিজয় কৃষ্ণ দত্ত জানান, এবারের ঈদ বাজারে অন্যান্য বছরের তূলনায় প্রচুর ক্রেতার সমাগম। বিক্রি ও ভালো হচ্ছে। আশা করি করোনায় হওয়া লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

চান্দিনা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ আলী ভূইয়া জানান, চান্দিনা বাজারে আশেপাশে ৪-৫ টি উপজেলার মানুষের সমাগম হয়। বাজারে ৩ শত কাপড়ের দোকান, ৬০ টি জুতার দোকান রয়েছে। এবারের ঈদ বাজারে বিক্রির লক্ষ ৫ শত কোটি টাকা। আশা করি ব্যবসায়ীরা গত দুই বছরে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে। ব্যবসায়ী পরিবেশ এখনো ভালো তবে পকেটমার এর ঘটনা ঘটেছে, আমরা প্রশাসন কে বিষয়টি অবহিত করেছি।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন- ঈদ কে সামনে রেখে চান্দিনা বাজার এলাকায় পুলিশের টিম সব সময় আছে। কেউ কোনো অপরাধমূলক কর্মকা- করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।