চা খাওয়ার কথা বলে হলে ফেরেনি প্রশাসনের কর্তারা

শেখ হাসিনা হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

তালা ভেঙ্গে হলের কক্ষে প্রবেশ, ছাত্রীদের সাথে আবাসিক শিক্ষকদের রূঢ় ও অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নানা সমস্যা নিয়ে হল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ করেছিলেন শেখ হাসিনা হলের নারী শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনের এক পর্যায়ে সমাধানের আশ^াস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফটকের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে চা খেয়ে আসার কথা বলে বেরিয়ে যান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এরপর শিক্ষার্থীরা রাতভর হল প্রাধ্যক্ষ ও তাঁর সহযোগীদের ফেরার অপেক্ষা করেন। পরদিন সকাল ১০টায়ও তাঁরা না ফিরলে আশাহত হয়ে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাতে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে (কুবি) এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত সোমবার হলের কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে হল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে রাতেই হল ফটকের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন নারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের খবর পেয়ে ছাত্রীদের সাথে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান। তাঁর সাথে উপস্থিত হোন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও।
এসময় প্রাধ্যক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করে শিক্ষার্থীদেরকে হলের ভেতরে অবস্থান করতে বলেন। এরপর হল প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সবশেষ প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা চা খাওয়ার কথা বলে হলের বাইরে গিয়ে গেটম্যানকে হলে তালা দিয়ে দিতে বলে চলে যান। শিক্ষকরা ফিরে আসবেন বলে সারারাত তাঁদেরকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছেন।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, ‘প্রশাসন আমাদেরকে আশ^াস দিয়ে হলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে আমাদের অভিযোগ মেনে নেয়নি। কিছুক্ষণ পর চা খাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। সকাল ১০টা পর্যন্ত আমরা হল ফটকে অপেক্ষা করেছিলাম তাঁদের জন্য। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’
চা খাওয়ার কথা বলে ফিরে না আসার বিষয়টি অস্বীকার করে হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমি এ কথা বললে অবশ্যই সেখানে ফিরে যেতাম। শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। হল থেকে ইলেক্ট্রিক হিটার, রাইস কুকার উদ্ধার করতে গিয়ে একটি কক্ষের তালা ভাঙ্গা হয়।’