জজ কোর্টেও জামিন পাননি রেদোয়ান আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

চান্দিনা প্রতিনিধি ।। গুলি করে দুই যুবককে আহত করা মামলায় জেলা দায়রা জজ আদালতেও জামিন মিলেনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদের। তবে জামিন পেয়েছে তাঁর গাড়ি চালকসহ আরও দুই কর্মী।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাব উল্লাহ এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এর জামিন নামঞ্জুর করার পাশাপাশি তাঁর তিন সহযোগিকে জামিন প্রদান করেন।

জামিন প্রাপ্তরা হলেন- ড. রেদোয়ান আহমেদ এর গাড়ি চালক রেজাউল করিম, এলডিপি কর্মী বাকি বিল্লাহ ও মোহাম্মদ আলী। তারা সকলেই রেদোয়ান আহমেদ এর সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাবু জানান, ড. রেদোয়ান আহমেদ শারীরিক ভাবে প্রচন্ড অসুস্থ থাকায় আমরা তাঁর জামিন চেয়েছিলাম। কিন্তু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭নং আমলী আদালত রিমান্ড শোনানী পেন্ডিং রাখায় জেলা দায়রা জজ আদালত রেদোয়ান আহমেদ এর জামিন দেননি। তবে তাঁর সাথে থাকা তিনজনের জামিন প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজালাল মিঞা শিপন জানান, আমরা রেদোয়ান আহমেদ এর জামিনে বিরোধীতা করি। একদিকে, রেদোয়ান আহমেদ এর রিমান্ড শোনানী পেন্ডিং অপরদিকে তাঁর অসুস্থতার বিষয়ে জেল সুপারের মাধ্যমে কোন প্রতিবেদনও আসেনি। তবে রেদোয়ান আহমেদ এর সাথে থাকা বাকি তিন আসামীর জামিন হয়।

এদিকে, কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক রেদোয়ান আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ মে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সস্টিটিউটের সিসিইউ’তে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁকে ফের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ড. রেদোয়ান আহমেদকে চিকিৎসা শেষে ২২ মে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ মে) বিকাল ৪টায় চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ আহমেদ ভবন এ কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদপুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। দুপুর আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীরা এলডিপি’র প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান। এসময় তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কোন এক ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহমেদ এর গাড়িতে তরমুজ দিয়ে ঢিল ছুড়ে। এসময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুইটি গুলি করেন। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।