টাউন হল মাঠে জমে উঠছে সবুজের মেলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মাকছুদুর রহমান ।। বৃক্ষ প্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১৭ জুলাই থেকে জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে কুমিল্লায় মাসব্যাপী বৃক্ষ মেলা চলছে। ইতিমধ্যে বৃক্ষ মেলা জমে উঠেছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গন। মেলা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত।
গতকাল রোববার সরেজমিনে কুমিল্লা কান্দিরপাড়স্থ টাউনহল মাঠে আয়োজিত বৃক্ষমেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় মোট ৩০ টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য বৃক্ষ মেলা খোলা রয়েছে।
বৃক্ষ মেলাকে ঘিরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে তৈরি হয়েছে ঘন সবুজের সমারহ। নানা বয়সী, শ্রেণি পেশার ক্রেতাদের পদচারণায় বেশ জমে উঠেছে বৃক্ষমেলা।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকালের দিকে মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে মেলায় বিক্রিও বাড়ছে বলে তারা জানায়।
বিভিন্ন স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, কমলা, নাশপাতি, সফেদাসহ বাহারি ফলের গাছ। চোখ জুড়ানো সবুজের মেলায় এসে খুশি দর্শনার্থীরা।
নানা জাতের ফুল ,ফল ও ঔষধি গাছের সমারোহ বসেছে এই মেলায়। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিক্রির জন্য আনা হয়েছে স্টলগুলোতে। বনজ, ফলদ, ঔষধি গাছ কিংবা ঘর সাজানোর অর্কিড, বনসাই সব ধরনের গাছ আছে এই মেলায়! ক্রেতারা আসছেন দেশি-বিদেশি ফুলের নানা জাত খুঁজে নিতে। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল– কলেজের শিক্ষার্থীরা সবাই ঘুরতে এসেছেন মেলায়।

মেসার্স শাহজালাল স্টলের স্বত্তাধীকারী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, তাঁর এখানে দেশী ও বিদেশী ফল ও ফুলের শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা বিক্রয় করা হচ্ছে এবং শ’ খানেক জাতের চারা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মেলায় আসলে মানুষের গাছের প্রতি আরো ভালোবাসা ও আকর্ষণ বাড়ে। তাই সবারই আসা উচিত।
ক্রেতা হামিদুর রহমান জানান, তিনি নিয়মিত গাছ লাগান এবং অন্যকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য,গত ১৭ জুলাই নগরীর টাউন হল মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।