ঠাকুরগাঁওয়ের হাজারো নেতাকমীরা রাতেই চলে এসেছে রংপুরে :পথে আছে আরো ৫/৭ হাজার

শনিবার রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে বিএনপির প্রায় আট হাজার নেতা-কর্মী গতকাল দিবাগত রাত দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন। তাঁরা অবস্থান নিয়েছেন রংপুর নগরের উত্তম বানিয়াপাড়া এলাকার একাধিক গুদামঘরে। সেখানে খোলা মাঠে চুলা জ্বালিয়ে হাঁড়িতে সবজি খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। আজ সকাল সাতটায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও থেকে আগত নেতা-কর্মীরা জানান, বাস বন্ধের ঘোষণা হবে, এটা তাঁরা আগেই জানতেন। তাই জেলার নেতারা প্রস্তুত ছিলেন যে দুই দিন আগেই যেতে হবে। সবাই বিছানার চাদর, কম্বলসহ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় নিয়ে এসেছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাতেই প্রায় আট হাজার নেতা-কর্মী আমরা ঠাকুরগাঁও থেকে এসেছি। আরও পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার লোক দুপুরের মধ্যে চলে আসবে। আমরা এসেছি বাস, ট্রাক, পিকআপ, মোটরাইকেলে। রাত ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও থেকে রওনা দিয়ে আড়াইটা-তিনটার দিকে রংপুরে এসে পৌঁছেছি। পথে বাধা পেলেও আমাদের হাজার হাজার মানুষ তা অতিক্রম করে রংপুরে ছুটে এসেছি গণসমাবেশের দুই দিন আগেই।’

সেখানকার একটি খোলা জায়গায় সাতটি চুলায় বড় বড় হাঁড়িতে সবজি খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। যেন উৎসবের নগরী হয়ে উঠেছে রংপুর। রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের পথে আসতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক থাকলেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রংপুরে আসতে পারায় তাঁদের সেই শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে বলে জানালেন তাঁরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান রাব্বী বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের এলাকার লোক আমরা। আমরা রাত ১২টায় রওনা দিছি। অনেকে ট্রাকে আসছি, বাসে আসছি, আমরা রাতেই আট হাজার লোক ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরে উপস্থিত হয়েছি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকার বিএনপির সদস্য শাহিন আলম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরে আসতে বিভিন্ন জায়গায় বাধা পেয়েছি। সমস্যা করেছে। তারপরও আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। জনগণের একটি সরকার কায়েম করার জন্য আমাদের রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের দুই দিন আগে উপস্থিত হয়েছি।’

ঠাকুরগাঁও জেলার মতো বিভাগের আট জেলার নেতা-কর্মীরাও গতকাল রাতেই নগরের বিভিন্ন এলাকার খালি গুদামঘরসহ বাসাবাড়িতে অবস্থা নেন। সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো ।