‘তাহলে ১ হাজার বোতল ফেনসিডিল ৪০ কেজি গাঁজা গেল কোথায়?’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কুমিল্লা ডিবির এস আই আহসান হাবীবের টিম ১ হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। কিন্তু উদ্ধারকৃত মাদক সরকারিভাবে জমা করা হয়নি এবং এস আই আহসান হাবীব জানিয়েছেন, তিনি এ গুলো উদ্ধার করেননি। সাধারণের প্রশ্ন তাহলে মাদক গুলো গেল কোথায় ? গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডিবির এসআই আহসান হাবীবের টিম জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের চান্দশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এসব উদ্ধারকৃত মাদকগুলো নিয়ে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব মাদক উদ্ধারের পর প্রায় ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসব মাদক কি অন্য কোনো মাদক সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ? এলাকায় এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে আলোচিত মাদক উদ্ধারের এ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের চান্দশ্রী গ্রামের মাজারের পাশে একদল মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল এবং গাঁজার চালান ঢাকায় পাচারের জন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় ডিবি পুলিশের একটি টিম দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাস নিয়ে উপস্থিত হলে মাদক ব্যবসায়ীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ডিবি পুলিশের ওই টিম ঘটনাস্থল থেকে ১ হাজার বোতল ফেনসিডিল এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে মিয়ার বাজার হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অতিক্রম করে পশ্চিম দিকের কাশিনগর সড়কের দিকে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জয়নাল আবেদীন, আবুল কালামসহ কয়েকজন জানান, ডিবি পুলিশের এসআই আহসান হাবীব সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসব মাদক উদ্ধার করেন। এ সময় ডিবির ওই টিমের সঙ্গে পাবলিক সোর্স ইকবাল এবং মহাসিন ছিলেন। পরে মাদকগুলো কাশিনগরের দিকে নিয়ে যায়। তারা আরো বলেন, শুনলাম এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং মাদক উদ্ধার দেখানো হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আহসান হাবীব বলেন, চান্দশ্রী এলাকা থেকে আমরা কোনো মাদক উদ্ধার করিনি। ফেনসিডিল এবং গাঁজা উধাওয়ের ঘটনাও সঠিক নয়।
কুমিল্লা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, আপনাদের নিকট যে তথ্য রয়েছে তা আমাদের দিলে বিষয়টি বের করতে আরও সহজ হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সঠিক হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।