দেবিদ্বারে ঝাল মুড়ির লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা: থানায় মামলা, অভিযুক্ত আটক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৯ বছরের এক শিশুকে ঝলমুড়ি খাওয়নোর লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা (৫০) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কামালকে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, এ ঘটনা শনিবার রাতে ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করলে পরে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর)বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলার মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্নে ঘটে । পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভিক্টিম (শিশু)এর বাবা দরিদ্র কৃষক, তার ৪ মেয়ের মধ্যে ভিক্টিম সবার বড়। সে মহেশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছে। শনিবার তার বিদ্যালয়ে মাহফিল থাকায় ৪ বোন মিলেই মাহফিলে যায়। সন্ধ্যার পূর্বে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যালয়ের গেইটে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা(৫০) তাদের ঝালমুড়ি দিয়ে ছোট ৩ বোনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ভিক্টিম শিশুকে পাশর্র্বতী নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। কামাল হোসেন মোল্লা সম্পর্কে ভিক্টিমের প্রতিবেশী ফুফা। কামাল হোসেন মোল্লা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত: আবুল কাসেম মোল্লার পুত্র।
ভিক্টিমের বাবা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কামাল হোসেন মোল্লা সম্পর্কে তার ভগ্নীপতি, ঝালমুড়ি লোভ দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্ত কামাল হোসেন ২ পুত্র ও ২ কণ্যা সন্তানের পিতা। এক ছেলে ও এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে এসে তাকে আটক করে। পরে মামলার পর রোববার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার করণে কামাল হোসেনোর বিরুদ্ধে মামালা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।