ওই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রেখেছিল কমিউনিটি সেন্টারের এক কর্মচারী। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চুরি হওয়া খাবার উদ্ধার হলে অবসান হয় ভুল বোঝাবুঝির। দুপক্ষের মুরুব্বিদের সমঝোতায় এর পর সম্পন্ন হয় বিয়ে।
এদিকে খাবার স্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে কনে পক্ষের লোকজন ওই কমিউনিটি সেন্টারের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন বালতি ও বলে ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার ও তবারকের জন্য আনা খেজুর দেখতে পায়। বিষয়টি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলামকে সঙ্গে সঙ্গেই জানান।
বরযাত্রীর সঙ্গে আসা নাঈম বিন মুসা বলেন, বরযাত্রীর সঙ্গে আসা অতিথিরা প্রথম দিকে খাবার পেলেও শেষের দিকে এসে অন্তত ৩০ জন খাবার স্বল্পতা দেখা দেয়। এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কমিউনিটি সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে থেকে বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার উদ্ধার করা হয়।
বরের ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে যারা খাবার পরিবেশন করেছেন তারাই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে যখন খাবার পাওয়া যায় তখন দুই পক্ষ শান্ত হয়।
কনের বাবা শের আলী বলেন, আমরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের কাছে ২০০ জন অতিথির খাবার অর্ডার করি। কিন্তু তারা ১৭০ জনের খাবার দিয়ে বাকি ৩০ জনের খাবার চুরি করেন। খাবার চুরি করে তারা আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে মেজবান কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এই কাজে জড়িত তাদের সবাইকে সেন্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বয় ও আয়ারা করে থাকতে পারে। তবে আমরা দেখেনি। আমাদের কমিউনিটি সেন্টার কোন পরিত্যক্ত কক্ষ নাই।