নাঙ্গলকোটে ধর্ষণে অন্তসত্ত্বা প্রতিবন্ধী নারী, বিচার দাবী করায় ধর্ষকের হামলায় আহত-২, ধর্ষক আটক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ব্যবসায়ীর ধর্ষণে এক প্রতিবন্ধী নারী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষণের বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর বিচার দাবী করায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে ধর্ষক ও তার লোকজন। ঘটনাটি ঘটে নাঙ্গলকোট পৌরসভার শ্রীহাস্য গ্রামে। ধর্ষক নাঙ্গলকোট বাজারের সীমা বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধিকারী শ্রীহাস্য গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা মজুমদার। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক মোস্তফা ও জোর পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত নার্স হরিপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী রেশমী বেগমের নামে সোমবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ধর্ষক মোস্তফা ও নার্স রেশমী বেগমকে আটক করে মঙ্গলবার কুমিল্লার কারাগারে প্রেরণ করে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার শ্রীহাস্য গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে ব্যবসায়ী মোস্তফা মজুমদারের বাড়িতে এক প্রতিবন্ধী নারী গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সুবাদে প্রতিবন্ধী নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে মোস্তফা। ধর্ষণের ফলে ওই প্রতিবন্ধী নারী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি আড়াল করতে ওই নারীকে গর্ভপাত ঘটাতে গেলে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবার বিচারের জন্য থানায় যাওয়ায় বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শ্রীহাস্য গ্রামের সরোয়ারের দোকানের পাশে ওই প্রতিবন্ধীর ভাইয়ের ছেলে মিঠু (২৫) মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (১২) উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন ধর্ষকও তার লোকজন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে ও পরে আহত মিঠুর অবস্থা আরো অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মোস্তফার বাড়িতে গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতো প্রতিবন্ধী ওই ধর্ষিতা। কাজ করার এক পর্যায়ে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবন্ধী ওই নারীর পরিবারের লোকদের সন্দেহ হলে তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা করানো হলে সে অন্তসত্ত্বা বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা মেয়েকে সু-কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী সকালে মোস্তফা প্রতিবন্ধী ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মোস্তফা তাকে স্থানীয় হরিপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী রেশমী আক্তারের বাসায় নিয়ে ঔষধ প্রয়োগ করে গর্ভপাত করান, এতে ওই নারীর প্রবল রক্তপাত শুরু হয়। ধর্ষিতা নারী নাঙ্গলকোট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ধর্ষিতার পরিবার।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক মোস্তফা ও নার্স রেশমী বেগমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।