নাঙ্গলকোটে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা বাজারের অরিন সুজ এন্ড কসমেটিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আজিম (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। আজিম জোড্ডা গ্রামের হাজী বাড়ীর আব্দুল আহাদের ছেলে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার রাতে আজিমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী নাছরিন আক্তার বিথি স্বামী আজিমকে ঘরের সিলিংয়ের সাথে ঝুলতে দেখে রশি কেটে সিলিং থেকে নামিয়ে শোরচিৎকার করে বাড়ীর লোকজনকে ডেকে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। এসময় ঘরের মূল ফটক’সহ তাদের রুমের দরজা খোলা ছিলো বলে দাবী স্ত্রী নাছরিনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড্ডা গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে জোড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিম মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখে রাত ১টার দিকে বাড়ী ফেরে। এর কিছুক্ষণ পর আজিমের বাবা আব্দুল আহাদ বাজার থেকে বাড়ীতে এসে ছেলেকে ঘরের সামনে বসে থাকতে দেখে। পরে তিনি ছেলের সাথে কথা বলে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলে ভোররাতে পুত্রবধূ নাছরিন আক্তার বিথির শোরচিৎকারে তার ঘুম ভাঙ্গে, তিনি আজিমের ঘরে গিয়ে দেখে সে দেওয়ালের সাথে পড়ে আছে। পরে জানতে পারে আজিমকে ঝুলতে দেখে তার স্ত্রী রশি কেটে সিলিং থেকে নামায়। আজিমকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যবসায়ী আজিম অরিন ও মিম নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক।
ব্যবসায়ী আজিমের পিতা আব্দুল আহাদ বলেন, রাত আনুমানিক ২টার দিকে ছেলের সাথে বাড়ির উঠানে শেষ কথা হয় আমার। পরে ভোরে তার স্ত্রী জানায় আজিমকে ঝুলতে দেখে নামিয়েছে। আমার ছেলেটা আসলে আত্মহত্যা করেছে নাকি অন্য কোন ভাবে তাকে কেউ মেরে পেলেছে আমি জানিনা।
আজিমের স্ত্রী নাছরিন আক্তার বিথি বলেন, আমার স্বামী রাত ১টার পর বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে যায়। পরে আমি ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের ঘরের দরজা খোলা এবং আমার স্বামী সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আছে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।