নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে অবহিতিকরণ সভায় স্প্রাইট, কোকা-কোলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লায় অংশীজনের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে অবহিতিকরণ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অংশীজনের আপ্যায়নে মিষ্টি সাদা চমচম, আপেল, বোতলজাত মাম পানি, কোমল পানীয় স্প্রাইট, কোকা-কোলাসহ জল খাবার পরিবেশন করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের এ সভায় প্রায় শতজন অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বলেন,
আমি গত ২০ বছর কোমল পানীয় পান করি না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। এছাড়াও কুমিল্লা সিটি কর্পোরোশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, বীরমুক্তিযুদ্ধারা, সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অংশীজনের মতামত পর্বে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু বলেন, কুমিল্লা ইপিজেড থেকে নির্গত পানিতে আমার সবজি হয়। সে সবজি খেয়ে মানুষের ক্যান্সার হয়। প্রাকৃতিক মাছ টুটালি ধ্বংস। নগরীর ২০নং ওয়ার্ড পুরাপুরি ধ্বংসের পথে। ১৯ ও ২২ নং ওয়ার্ডের মানুষেরও ক্ষতি হয়। ফলে আমাদের হাজার হাজার একর জমি ক্ষতির মুখে।
  • এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। সমাধান করবো।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান
মো. তারিকুর রহমান জুয়েল বলেন, এ সফট ড্রিংকসটা (কোমল পানীয়) আমাদের শরিরের জন্য ভালো কিনা? প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি বলেন, “আমি লাস্ট ২০ ইয়ার্স সফট ড্রিংকস খাই না। এতে আমার কোন ক্ষতি হয়েছে? এটাতে সুগার বেশী। ইয়াংদের জন্য সমস্যা নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাবার খেতে হবে। রাতে ভারি খাবার খাওয়া যাবে না। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। সে জন্য খাদ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এখন থেকেই আমাদের খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাবার অপচয় করার অধিকার  কারো নেই,কারন এই আখাদ্য আল্লাহর দান। আসুন আমরা এখন থেকেই খাদ্য নিয়ে চিন্তা করি,খাদ্য নিরাপত্তা ও উৎপাদন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়। খাদ্য সচেতনতা বিষয়ক নানা প্রবন্ধ ও ভিডিও সরকারের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা আছে। সবাই একটু স্টাডি করবেন।