পদোন্নতিতে শর্ত আরোপের বিরোধিতা কুবি শিক্ষক সমিতির

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের পদোন্নতির নীতিমালায় অবেক্ষাধীনকালে শর্ত আরোপের কোনো বিধান নেই দাবি করে বিগত কয়েকটি সিন্ডিকেটে পদোন্নতি প্রাপ্তিতে এ ধরনের শর্ত আরোপের বিরোধিতা করেছে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বর্তমান শিক্ষক সমিতির ৩য় সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ৩০ জুন অবেক্ষাধীনকালের মধ্যে নির্দিষ্ট জার্নালে গবেষণা প্রকাশের শর্তে কয়েকজন শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয় ৮২তম সিন্ডিকেট। এ শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে তাঁদেরকে অধ্যাপক পদে চাকুরী স্থায়ীর সুপারিশ করা হবে না বলে জানানো হয়।

এর ফলে একই পদে নিয়োজিতদের মধ্যে যে বা যিনি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবেন তাঁর
জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ন হবে দাবি করে শিক্ষক সমিতি এই শর্তটিকে কালো আইন বলে আখ্যায়িত
করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক শিক্ষক বিভিন্নভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন। তাই সকল
স্তরে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত ও সকল ধরনের
র‍্যাংকড জার্নালে প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে
গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না করে এ ধরণের শর্ত আরোপ করা শিক্ষকদের উপরে
নিপীড়নের শামিল।

এছাড়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য জুলাই মাসের বেতনের সাথে তিনটি ইনক্রিমেন্ট
প্রদানের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছিল দাবি করে আসন্ন সিন্ডিকেটে এই
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষকরা।

প্রশাসন এসব দাবি বাস্তবায়ন না করলে শিক্ষক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে
বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের
প্রচলিত নিয়মে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি এবং নতুন কোনো নিয়ম
আরোপ করতে হলে প্রচলিত নিয়মটি সংশোধন করতে হবে। ৮২তম সিন্ডিকেট একেকজনকে
একেক শর্ত দিেেয়ছে, যা শিক্ষকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তাঁরা মনে
করেন, নীতিমালা সংশোধন করেই এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা উচিৎ। যদিও শিক্ষকরা
পূর্বের নিয়মে পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।