পুলিশ স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে চার সন্তানের জননীর সংবাদ সম্মেলন

বরুড়া প্রতিনিধি।।
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

কুমিল্লার বরুড়ায় পুলিশ সদস্য স্বামী মোনায়েমের কাছে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চার সন্তানের হেলেনা আক্তার। রবিবার সকালে কুমিল্লার বরুড়া প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তার সঙ্গে তাদের ৪ সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী হেলেনা বেগম কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের প্রোম্বাইশ গ্রামের বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্যে হেলেনা বলেন, ‘আমার স্বামী মো. মোনায়েম হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কক্সবাজার জেলায় ৮ -এপিবিএন জামতলী ক্যাম্পে কর্মরত আছেন। ছোট কন্যা সন্তান হওয়ার আগে এমআর না করায় মোনায়েমের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির সূত্রপাত হয়। এরই মাঝে জানা যায় মোনায়েম পরকীয়ায় আসক্ত।’
হেলেনা বেগম জানান, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালত শরনাপন্ন হয়ে মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের সুম্পর্ক তৈরি করে তার সঙ্গে রাখার জন্য এবং বাচ্চাদের যাবতীয় খরচ ও ভরণপোষণ বিষয়ে সঠিক দায়িত্ব নেওয়ার শর্তে জামিন দেন।
তিনি জানান, কোর্টের নির্দেশনা মেনে মোনায়েম কক্সবাজারের বাসা ভাড়া করে তিন মাস ঘর সংসার করার পর জানান ঢাকায় তার ট্রেনিং আছে। এ সময় তিনি বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন হেলেনাকে। হেলেনা বেগম ঢাকায় যেতে চাইলে তার স্বামী জানান, পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। দুমাস পর বাসায় নিয়ে যেতে বললে, মোনায়েম রাগারাগি ও গালিগালাজ করে এবং তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানান। যার ফলে পুনরায় কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে আরেকটি মামলা করেন হেলেনা।
হেলেনা বলেন, ‘শুনেছি সে (মোনায়েম) জামিন নিয়ে কক্সবাজার চলে গেছে। লোক মারমফত শুনতে পাচ্ছি, সে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। অথচ আমি এ ধরনের কোনো কাগজপত্র পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘মোনায়েম বিভিন্ন সময় আমার পরিবার থেকে নানা অজুহাত দিয়ে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে। গত কয়েকটি ঈদসহ নানা উৎসবে আমি ও আমার সন্তান তার আদর থেকে বঞ্চিত রয়েছি। ভুলেও সে খোঁজ খবর নেয় না। আমি আমার সন্তানদের ভবিষ্যত ও আমার নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপির কাছে আকুল আবেদন করছি আমার স্বামীর অধিকার ও বাচ্চাদের পিতার অধিকার ফিরিয়ে দিতে।’তিনি জানান, তাদের বড় মেয়ে এইচএসসি, বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে, আরেক ছেলে দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ে এবং ছোট মেয়েটির বয়স ২ বছর।
এ বিষয় অভিযুক্ত মোনায়েম বলেন, ‘সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে। সে আমার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টে মামলা করে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। সে মামলা করবে, আবার অধিকার চাইবে, এটা সাংঘর্ষিক। কোর্টের মাধ্যমে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। সন্তানের ভরণপোষণ আমি পাঠাই এ ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষটি অবগত আছেন।’