বরাদ্দ নেই, তবু ছাত্রাবাসে থাকছেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কুমিল্লার বুড়িচং থানার বাসিন্দা মিশু পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী। একসময় তার নামে সিট বরাদ্দ থাকলেও এক বছর লস হওয়ায় সেটি বাতিল করে ইনস্টিটিউট। ভিন্নরকম অবস্থা সিভিল ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী পারভেজের ক্ষেত্রে। গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার জন্য ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ নেই। কিন্তু তারা দুজনই শহীদ শাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের ২০৪ ও ২০৭ নম্বর কক্ষে থাকেন দীর্ঘদিন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রাবাসের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা ইনস্টিটিউটের কোনো নিয়ম না মেনেই ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষ দখলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে খাওয়া বাবদ কোনো টাকাও পরিশোধ করেন না। ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় তারা ও তাদের অনুসারীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্রাবাসের সুপার মেকানিক্যাল বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, তাদের দুজনের সিট বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের নেতারাও জানেন। এর বেশি তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খীসা জানান, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হবে। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শহীদ শাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের পর বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সমর্থকদের দাপটে সুপার ও কেয়ারটেকারদের কাছে নিয়ন্ত্রণ নেই ছাত্রাবাসের।

ইনস্টিটিউটের নিয়ম ভঙ্গ করে ওই ছাত্রাবাসে সিট দখল নেন ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান শিপন মিশু ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন পারভেজ চৌধুরী।