কুমিল্লা নগরীর কোটবাড়িতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ক্যানবোর্ড স্কুলের দশম শ্রেনীর পড়ুয়া তানহা শেখ (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কোটবাড়ি আল আমিন টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে।
তানহা শেখ চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি এলাকার শাহজাহান শেখের মেয়ে।
জানা যায়, ওই ছাত্রী কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। পড়াশোনার কারনে কুমিল্লা কোটবাড়ি আল আমিন টাওয়ারের ৭ম তলায় ভাড়া বাসায় থাকতো। কি কারনে ৯ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়েছে, নাকি কেউ মেরে ফেলে দিয়েছে তার রহস্য এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।
তার সহপাঠীরা জানান, আহত শিক্ষার্থী হতাশায় ভুগছিলেন। তিনি কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তার বেশ কয়েকটা সিটি পরীক্ষা বাকি ছিল। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারেননি। এসব নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন।
তার আরেক সহপাঠী বলেন, আহত শিক্ষার্থী আমার কাছের বন্ধু। তাকে চিন্তিত মনে হচ্ছিল। এর আগেও কলেজ শাখায় গত বছর আমাদের এক সিনিয়র আপুও আত্মহত্যা করেছিল।
শিক্ষার্থীর মা আমেনা শেখ বলেন, মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাত ও পা ভেঙে গেছে। প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। কি কারনে এ ঘটনা হয়েছে তা জানিনা।
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ হিসাব বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক আনিস বলেন, কেন আমাদের শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে তা জানিনা। গত বছর সাইন্সের একটি শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে প্রেমের সম্পর্কে। পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের আমরা চাপ সৃষ্টি করিনা।
ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের শফিক নামে আরেক শিক্ষক মুঠোফোনে বকেন, এ নামে আমাদের কোন শিক্ষার্থী নেই। এ বলে কল কেটে দেন।
কোটবাড়ি ফাঁড়ির এসআই টিটু কুমার নাথ বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ৯ তলা ভবন থেকে কিভাবে পড়েছে তা এখনো নিশ্চিত না। তবে নিচে পড়ার দৃশ্যটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেয়েছি। যতটুকু দেখেছি, হাত ও পা ভেঙে হাড় বের হয়ে গেছে। এখন ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে তার পরিবার।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের টিম গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার দিকে যাব।