বাহারি পিঠার স্বাদ-গন্ধ নিয়ে শুরু হলো রেসিডেন্সিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শীত শেষ হয়ে বসন্তে পা দিলো তবুও মনে হবে বাঙালীর ঐতিহ্যপ্রিয় পিঠার আমোদ এখনো শেষ হয়নি।

গ্রামে-গঞ্জে কৃষাণী আর গৃহস্থবাড়িতে টাটকা চালে তৈরি হয় বাহারি পিঠা-পুলি। পিঠার মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ঋতুর প্রথম ভাগ থেকেই।

তবে শহরে সেই পরিচিত দৃশ্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজে প্রায় অনুষ্ঠান হলে দেখা যায়।বৃহস্পতিবার নগরীর কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে একটি পিঠা উৎসবের দেখা মেলে।শিক্ষার্থীরা তারা নিজের হাতের বানানো পিঠা বিক্রয় করছে আর ক্রেতারা কিনে খাচ্ছে।স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বাহারি রঙের বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠেছে এক একটি পিঠা।

এই ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা কেনা ও খাওয়ার দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও করছে অনেক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৩ শে ফেব্রুয়ারি) সকালে অত্র কলেজ মাঠে ফিতা কেটে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।

পিঠা উৎসব উদ্বোধনের পর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা এমরান।৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম মুনমুন।

এতে প্রায় ৫৬টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। আর সেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২০০ রকমের পিঠা। এসব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, সর ভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।