বিএনপির ২৪ নেতা আ’লীগের কাউন্সিলর!

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :   লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকায় পদধারী বিএনপির ২৪ নেতার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনু এ তালিকা করেন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল পর্যায়ের একাংশের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের কাউন্সিলর না করে পদধারী বিএনপির নেতাকর্মীদের কাউন্সিলর করায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ওই ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আবদুর রব সুমন এ অভিযোগ করেন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ সংশ্লিষ্ট ৮ নেতার কাছে তথ্য-প্রমাণাদিসহ অভিযোগ তুলে ধরেন।

এতে বলা হয়, একটিতে সম্মেলন আর দুই ওয়ার্ডে সভা করে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। আর অন্য ৬ ওয়ার্ডে কমিটি করা হয়নি। কিন্তু ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনগড়া ৯টি ওয়ার্ড কমিটি করে জমা দিয়েছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন সম্মেলনের জন্য ২৫১ জনকে কাউন্সিলর করা হয়। এরমধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৮ নম্বর সহ-সভাপতি মজিবুর রহমানকে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেখিয়েও কাউন্সিলর করা হয়। সবশেষ ৭ এপ্রিল সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদের অসুস্থতার কারণে তা স্থগিত করা হলেও এখনো পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ হয়নি।

বিতর্কিত অন্য কাউন্সিলররা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল হাসিম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়নাল আবেদিন, আবুল কাশেম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সেলিম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আফছার উদ্দিন, মো. সিরাজ, অবদুর রব, আবুল কাশেম, মো. দিদার, বেলাল উদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জামাল, আবদুজ জাহের, মো. মোস্তফা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কামাল, মো. সিরাজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহি উদ্দিন হেজু, জাহের উদ্দিন মাল, মো. নিজাম (আবদুল মুন্সি), সাইফ উদ্দিন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ ফরিদ ও মো. লিটন। প্রত্যেকে ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা।

ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনু বলেন, ৩ মাস আগে আমরা কাউন্সিলর তালিকা উপজেলা নেতাদের কাছে জমা দিয়েছি। যারা গত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট করেছে, তাদেরকে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই কাউন্সিলর তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে বিএনপির কোনো নেতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

সভাপতি মনির হোসেন বলেন, কাউন্সিলর নিয়ে কিছু লোক বাড়াবাড়ি করছেন। ২০১৩ সালে আমাদের কমিটি হয়েছে। ১৯ সাল পর্যন্ত আমরা ওয়ার্ড কমিটিগুলো করেছি। এরমধ্যে ৩ বার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও বিভিন্ন কারণে তা হয়নি।

রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, কাউন্সিলর তালিকায় অনিয়মের অভিযোগটি পেয়েছি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরাই কাউন্সিলর হবেন এবং তারাই নেতা নির্বাচিত করবেন। অভিযোগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও আমি জানিয়েছি।