বুড়িচংয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে বুড়িচং বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের দুটি পক্ষ আছে। উপজেলাটিতে ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কমিটি আছে। এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের অনুসারী। অন্য পক্ষের সমর্থকেরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকেলে এই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

কিন্তু মামলা হওয়ার পর নিজেদের ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন তানভীর ও সাইফুল। এরপর মামলা থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে বাদী ও মিজানুর পক্ষের মাহফুজকে হুমকি দেন জসিম পক্ষের ছাত্রদল নেতারা। কথা না শোনায় বাদী মাহফুজের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

মাহফুজের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন মিজানুরের কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় জসিম পক্ষের নেতা-কর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মিজানুর পক্ষ ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মিজানুর পক্ষ ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মাহফুজের ওপর হামলার নিন্দা জানাতে প্রতিবাদ করছিলাম। এ সময় অপর পক্ষের উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইকবালের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিনের অনুসারী ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক স্বপন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের অন্য কোনো গ্রুপ নেই। মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

এ ঘটনায় গতকাল রাত পর্যন্ত থানায় কোনো থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক।