ভারত থেকে এলো ৩২০০ টন মসুর ডাল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দিনদিন আমদানি-রফতানি বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করলো বাংলাদেশ। অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ পাবেন এ ডাল। ১ কোটি ১৭ লাখ মানুষের মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় স্বল্পমূল্যের টিসিবির পণ্য বিক্রি।

বৃহস্পতিবার চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরো ১ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আসবে।

ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ মসুর ডাল আমদানি করলো। প্রতি মেট্রিক টন ডাল ১ হাজার ১৩৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়েছে।

এসব ডাল বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে টিসিবি’র আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হবে।

বৃহস্পতিবার বন্দর থেকে এ ডাল খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ ও সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক আতিয়ার রহমান জানান, সরকার চার হাজার ২০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করবে। তিন হাজার ২০০ টন ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাকি ১০০০ হাজার টন পর্যায়ক্রমে আসবে। মসুর ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা এবং এ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বন্দর থেকে দ্রুত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন তারা।

গত ৪ ডিসেম্বর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে টিসিবির জন্য ৮৭ ট্রাকে দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৯ মার্কিন ডলার মূল্যে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছে ৩৭ টাকা ৮৯ পয়সা।